বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সরব অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee)। আরজিকর কাণ্ডের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই একের পর এক ঘটনার ঘনঘটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কিছুদিন আগেই যৌন হেনস্থার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে পরিচালক অরিন্দম শীলকে। আর এবার রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে হেয়ার হেয়ার ড্রেসের তনুশ্রী দাসের (Tanushree Das) আত্মহত্যার চেষ্টার খবর।
বিস্ফোরক ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee)
দিনের পর দিন কাজ না পেয়ে অবসাদে চরম সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিলেন তনুশ্রী। অভিযোগ দিনের পর দিন বিনা কারণে তার কাছ থেকে একের পর এক কাজ কেড়ে নিতে শুরু করেছিল হেয়ার ড্রেসের গিল্ড ও ফেডারেশনের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে কাজ হারিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন তনুশ্রী দাস। এরপর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। আপাতত তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তনুশ্রী দেবী জানিয়েছেন এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ২১ সেপ্টেম্বর রাত আটটা নাগাদ। সে সময় তনুশ্রী বাথরুমে ঢুকলেও দীর্ঘক্ষন তাঁর কোনোসাড়া শব্দ পাচ্ছিল না বাড়ির লোকজন।
তখনই সন্দেহ হয় তনুশ্রী মেয়ে অঙ্কিতার। বাথরুমের দরজার কাছে যেতেই তিনি কেরোসিনের গন্ধ পান। তখনই সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন মাকে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল তনুশ্রী দাসের এই পরিণতি হল কেন? কেনই বা তাঁকে বারবার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছিল? কি দোষ ছিল তাঁর? এবার গোটা বিষয়টা সামনে আনলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee) ।
আরও পড়ুন : তখন মেয়ের বয়স আড়াই বছর! কেন রোজ রাতে বাড়িতে এসে কাঁদতেন কণীনিকা?
এদিন সোশ্যাল মিড়িয়ায় বড়সড় পোস্ট করে অভিনেতা (Bhaswar Chatterjee) জানিয়েছেন, ‘সূত্রের খবর, হেয়ার ড্রেসার গিল্ড তনুশ্রী দেবীকে তিন মাসের জন্য কাজ থেকে সাসপেন্ড করে। পরবর্তীকালে তাঁকে বলা হয় গিল্ড যে কাজ দেবে সেই কাজই শুধু তিনি করতে পারবেন। বাইরে থেকে কোনও কাজ নিয়ে এলে তিনি করতে পারবেন না। এরইমধ্যে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির জন্য বড় কাজের অফার তিনি পান। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানেও বাধা! একদিন আগে জানতে পারেন ওই কাজও তিনি করতে পারবেন না। গিল্ডের তরফেই তাঁকে এ কথা নাকি তাঁকে জানানো হয়।’
সেইসাথে এইদিন অভিনেতা আরও জানান কদিন আগেই নাকি একটা মেগা সিরিয়ালে কাজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেও নাকি বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তনুশ্রীকে। তাই শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যার কথা ভাবেন। ভাস্বরের কথায়, ‘তনু আমাদের সহকর্মী, তাই আমার এত কথা লেখা। চাইলে ‘আমার কী?’ বলে এড়িয়ে যেতে পারতাম কিন্তু ভাবলাম কাজ তো কারও বাপের সম্পত্তি নয়, তাহলে কাজ কেড়ে নেওয়া হবে কেন? আশা করব, ও দ্রুত বিচার পাবে।’