বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়া (Bhatpara), বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল। বিজেপি তৃণমূলের বোমা গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর সঙ্গেও বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক খুন এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিল থেকে ভাটপাড়া মোড় পর্যন্ত পদযাত্রার কথা ছিল বিজেপির।
এই পদযাত্রা থেকে রাজ্যে সমস্ত স্তরে প্রশাসনিক ব্যর্থতার পাশাপাশি আমফান ও রেশনে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হবে বলে জানিয়েছিল তারা। মিছিলে নেতৃত্ব দিতে উপস্থিত হন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সহ-সভাপতি অর্জুন সিং।
সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমাশঙ্কর সিং, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং প্রমুখ। কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বোমার আঘাতে এক কিশোর গুরুতর জখম হয় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর অভিযোগ বিজেপির রালি-কে বন্ধ করবার জন্যই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চক্রান্ত করে এই বোমাবাজি করছে। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে।
ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সুবোধ অধিকারীর পাল্টা অভিযোগ,বহিরাগতদের নিয়ে এসে অর্জুন সিং এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের লড়াই। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনোভাবে জড়িত নয়।
ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সুবোধ অধিকারীর পাল্টা অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে অর্জুন সিং এলাকায় হামলা চালাচ্ছেন। এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবে জড়িত নয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি করতে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। কোনও রকম পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি করতে চাইলে তাঁর ছেলে তথা ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংয়ের সঙ্গে পুত্র বিধায়ক পবন সিংয়ের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে।