বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সৌজন্যেই আজ খবরের শিরোনামে ভিতরকণিকা (Bhitarkanika)। ওড়িশার এই অফবিট লোকেশন ভিতরকণিকা (ওড়িয়া ভাষায় কণিকা মানে অতুলনীয় সুন্দর) অরণ্যের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের সুখ্যাতি বিশ্বনন্দিত। শুধু কি তাই, এই অরণ্যের ভিতরে গহীরমঠ সমুদ্রতটে আছে প্রায় দশ লক্ষ অলভ রিডলি কচ্ছপ। প্রতি বছর সব মিলিয়ে তারা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ডিম পাড়ে।
ভিতরকণিকা (Bhitarkanika) ভ্রমণ
এককথায়, বলা যায় হাতে যদি কয়েকটা দিন ছুটি থাকে, তাহলে ওড়িশার ভিতরকণিকা (Bhitarkanika) হতে পারে আপনার গন্তব্যের সেরা ঠিকানা। বাড়ির কাছের এই অভয়ারণ্য আপনাকে দেবে প্রকৃতির আদিম স্বাদ। এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে খুঁজে পাবেন ৫৫ রকম প্রজাতির ম্যানগ্রোভ, ১৭০ রকম প্রজাতির পাখি এবং প্রচুর সংখ্যায় নোনা জলের কুমীর। কলকাতা থেকে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন এই অভয়ারণ্যে। মূলত অক্টোবর থেকে মার্চ হচ্ছে ভিতরকণিকা ভ্রমণের সেরা সময়।
আরোও পড়ুন : কত্ত ছুটি! নভেম্বরের প্রায় অর্ধেক দিনই বন্ধ ব্যাঙ্ক! আপনি ছুটির লিস্টটা দেখেছেন তো? নাহলেই চাপ!
কীভাবে যাবেন : কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে নামতে হবে ভদ্রক বা কেন্দ্রাপাড়া স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন ভিতরকণিকা (Bhitarkanika)। সড়কপথে NH 16 ধরে ভদ্রক হয়ে যাওয়া যায় ভিতরকণিকা। এছাড়াও উড়িষ্যার একাধিক জায়গা থেকে বাসেও পৌঁছে যেতে পারবেন এই অভয়ারণ্যে।
থাকার ব্যবস্থা : ভিতরকণিকায় রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে একাধিক হোটেল , সরকারি গেস্ট হাউস ও বেসরকারি লজ। শীতের মরশুমে বেশ চাহিদা থাকে। তাই আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই ভালো। স্যান্ড পেবেলস জঙ্গল রিসর্টে দু’জন থাকার মতো সুইস টেন্টের ভাড়া ৫০০০ টাকা আর ভিলেজ রিসর্টের দু’জনের কটেজের জন্যে লাগবে ৪৫০০ টাক। এছাড়াও, বুকিং করতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন : ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার, রাজনগর (ফোন : ০৬৭২৯-৮৪৬০)
দর্শনীয় স্থান : ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য বিখ্যাত ভিতরকণিকা। এছাড়াও এখানকার নোনা জলের কুমির পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এখানে দেখার মতো কিছু জায়গা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্ক : সুবিশাল ম্যানগ্রোভ অরণ্যে দেখতে পাবেন কুমির, নানারকম পাখি ও অন্যান্য জীব বৈচিত্র্য।
গহিরমাথা সৈকত : গহিরমাথা সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলবে বিরল প্রজাতির অলিভ লিডলে কচ্ছপের।
বাগাগহন পক্ষী অভয়ারণ্য : এখানে দেখা মেলে নানা প্রজাতির পাখির। এছাড়াও শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে বাগাগহন পক্ষী অভয়ারণ্য।