বাড়ি গিয়েছে, ‘বাদাম’ গিয়েছে, একটা পয়সাও নেই ভুবন বাদ্যকরের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাগ্যটাই খারাপ ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar)। ‘কাঁচা বাদাম’ গানের জন্য ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন, এ খ্যাতি দু দিনের। তারপর অন্যান্য ভাইরাল মানুষদের মতোই হাল হবে ভুবনেরও। কিন্তু তাঁর খ্যাতি, প্রতিপত্তি যেভাবে বেড়েছিল তাতে মনে হয়েছিল নিজের প্রতিভার জোরে টিকে যাবেন ভুবন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘বাদাম কাকু’রও অবস্থা হল রানু মণ্ডলদের মতোই।

কাঁচা বাদাম বিক্রির জন্য বাঁধা দু কলি গানের জোরেই রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর। বীরভূমের এক অখ্যাত গ্রাম থেকে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। তারপর ভুবন কলকাতায় এসেছেন, বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছেন, গানের শো-ও করেছেন।

bhuban badyakar house

থেমে থাকেননি ভুবন। একের পর এক নতুন গানও বাঁধছিলেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন, বানিয়েছেন সাধের পাকা বাড়ি, কিনেছেন সেকেন্ড হ্যান্ড চারচাকা। দিন কাটছিল স্বপ্নের মতো। ভেবেছিলেন দুর্দশা বোধকরি ঘুচল এবার। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার যে এত জ্বালা তা ভাবতেও পারেননি ভূবন।

এখন প্রায় সর্বস্ব গিয়েছে ভুবনের। সাধ করে বানানো বাড়ি থেকে বাস উঠেছে। এখন থাকছেন ভাড়া বাড়িতে। এমনকি যে গান তিনি নিজে বানিয়েছিলেন সেই গান পর্যন্ত আর গাইতে পারছেন না ভুবন। ‘বাদাম’ উচ্চারণ করলেই চেপে ধরছে কপিরাইট। ভুবনের অভিযোগ, তাঁকে ঠকানো হয়েছে।

ভুবন বলেন, তিনি তেমন পড়াশোনা জানেন না। সেই সুযোগেই তাঁকে ভুল বুঝিয়েছে বীরভূমেরই এক মিউজিক সংস্থার মালিক গোপাল ঘোষ। চুক্তির কাগজ দেখিয়ে ভুবনের দাবি, গোপাল তাঁকে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ‘কাঁচা বাদাম’ গানটির কপিরাইট কিনে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে স্পষ্ট করে বলেননি সেকথা।

Bhuban badyakar

ভুবন আরো বলেন, ওই কাগজে পরিস্কার লেখা আছে গান থেকে যা আয় হবে তার ৬০ শতাংশ টাকা তিনি পাবেন আর বাকি ৪০ শতাংশ পাবে সংস্থা। কিন্তু বাদাম কাকুর অভিযোগ, তাঁকে একটা পয়সাও দেওয়া হয়নি। এখন মাসিক ২৭০০ টাকা বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকছেন তিনি। কিন্তু এই টাকায় কতদিন তিনি চালাতে পারবেন জানেন না ভুবন। এরপর সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর