বাংলাহান্ট ডেস্ক: একটি গানের দৌলতেই ভাইরাল হয়ে গেলেন ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে এই ভাইরাল গান। বাদামের বিক্রি ভাল হওয়ার জন্য নিজের সুবিধার্থে গান বেঁধেছিলেন ভুবন। গেয়েওছিলেন তিনি। সে গান যে কেমন করে নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ল তা জানার সাধ্য কারোর নেই। কিন্তু জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠে গিয়েছে ভুবন। তাঁর গানের রিমিক্স ভার্সনে কোমর দোলাচ্ছেন আট থেকে আশি।
সম্প্রতি ‘দাদাগিরি’তে এসেও মঞ্চ মাতিয়ে দিয়ে গিয়েছেন ভুবন। শুধু যে খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তাই নয়, সেরার শিরোপাও নিজের নামাঙ্কিত করেছেন। এদিন নিজের গান তৈরির ইতিহাসও জানান ভুবন। বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা তিনি। দাদা, বৌদি, দাদার ছেলেপুলে, নাতি নাতনিকে নিয়ে এক কামরার সংসার।
ছোট থেকেই দিনমজুরের কাজ করতেন ভুবন। পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু একটা সময় সংসারের অভাব ছাপিয়ে যায় রোজগারকে। কাজও পেতেন না। তারপর থেকেই শুরু করেন বাদাম বিক্রির কাজ। একদিন গুদামে গিয়ে তিনি দেখেন ভাঙা মোবাইল, হাঁসের পালক, ছেঁড়া চুল বিক্রি হচ্ছে।
তারপর থেকে বাদাম বেচার সময় বলতেন, পালক, ছেঁড়া চুল থাকলে দিয়ে যাবেন। বদলে সমান ওজনের বাদাম পাবেন। তার সঙ্গে যোগ হল সিটি গোল্ডের চেন, পায়ের তোড়া। এভাবেই একটা গান বানিয়ে সুর দিয়ে গাইতে শুরু করলেন ভুবন, যা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে।
দাদাগিরির মঞ্চে এসে একবারের জন্যও মুখের অমলিন হাসি সরাননি ভুবন বাদ্যকর। খেলা শুরুর আগে বিশেষ কিছুই শেখানো হয়নি তাঁকে। তবুও নিজের সারল্য দিয়েই বাজিমাত করেছেন ভুবন। তাঁর হাতে সেরার ট্রোফি উঠতেই উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। হাততালি দিয়েছেন সহ প্রতিযোগীরাও। এখানেই সাফল্য ভুবন বাদ্যকরের।