বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই নিজের ক্যারিশ্মা ছড়িয়ে আসছেন। ভুবন বাদ্যকরে (Bhuban Badyakar) মেতে রয়েছে সকলেই। হিন্দিতে একটি অত্যন্ত প্রচলিত কথা রয়েছে, ‘উপরওয়ালা যব ভি দেতা, দেতা ছপ্পড় ফাঁড়কে’। ভুবন বাদ্যকরের ক্ষেত্রে কথাটা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। তাঁর একটা ‘কাঁচা বাদাম’ গান এখন নাচাচ্ছে গোটা দুনিয়াকে।
টেলিপাড়াকে তো আগেই তিনি মাতিয়ে দিয়েছিলেন। এবার ‘দাদাগিরি’র (Dadagiri) মঞ্চও জয় করলেন ভুবন। শনিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সামনে যেন চাঁদের হাট বসেছিল। একদিকে যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, অন্যদিকে ভুবন বাদ্যকর। কিন্তু পাঁচ পাঁচজন প্রতিযোগীকে হারিয়ে বিজয়ী হলেন বীরভূমের ‘বাদাম কাকু’ই।
একেবারে নিজস্ব স্টাইলেই দাদাগিরির মঞ্চে দেখা মিলেছে ভুবনের। না সাজে ছিল কোনো বাহুল্য, না কথাবার্তায়। সহজ সরল ভুবন অচিরেই মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের। এক ঝুড়ি বাদাম নিয়ে এসেছিলেন তিনি। গান গাইতে গাইতে সৌরভ সহ অন্য প্রতিযোগীদেরও বাদাম উপহার দেন তিনি। শোনান নিজের জীবনযাত্রার গল্প।
বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ভুবন। খেলেওছেন বীরভূমের হয়ে। পেশায় বাদাম বিক্রেতা ছিলেন তিনি। এদিন নিজের গান তৈরির ইতিহাসও জানান ভুবন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি যেতেন বাদাম বিক্রি করতে। প্রথমে চুল, পালক এসবের বদলে বাদাম দিতেন। তারপর সিটি গোল্ডের দোকানে গিয়ে আরো গানের লাইন মনে আসে।
সেখান থেকেই তিনি লেখেন, ‘পায়ের তোড়া হাতের বালা, থাকে যদি সিটি গোল্ডের চেন দিয়ে যাবেন।’ এর বদলে সমান ওজনের বাদাম পাবেন। আগে দিনে কয়েক কেজি করে বাদাম বিক্রি হত। এক একদিন তাও হত না। কিন্তু এই গান তাঁর জীবন বদলে দিল। গোটা বিশ্বে তিনি বিখ্যাত। ভুবনের গানে নাচছে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা তানজানিয়া।
দাদাগিরির মঞ্চে এসে একবারের জন্যও মুখের অমলিন হাসি সরাননি ভুবন বাদ্যকর। খেলা শুরুর আগে বিশেষ কিছুই শেখানো হয়নি তাঁকে। তবুও নিজের সারল্য দিয়েই বাজিমাত করেছেন ভুবন। তাঁর হাতে সেরার ট্রোফি উঠতেই উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। হাততালি দিয়েছেন সহ প্রতিযোগীরাও। এখানেই সাফল্য ভুবন বাদ্যকরের।