বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুরন্ত ভুবনেশ্বর কুমার এবং হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনের দুরন্ত বোলিংয়ের দৌলতে প্রথম ইনিংসে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে আটকে গেল পাকিস্তান। টপ অর্ডারকে রুখে দিতেই পাকিস্তান মিডল অর্ডারের কঙ্কালসার চিত্রটা আরও একবার সকলের সামনে চলে এলো। দুরন্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। চারদিকের ঝুলিতে এলো ৩ উইকেট।
এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ ভারত-পাক ম্যাচের কিছুদিন আগে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের এটার আসিফ আলী দাবি করেছিলেন যে গোটা দল শুধুমাত্র বাবার আজম কিংবা মহম্মদ রিজওয়ানের উপর নির্ভর করে নেই। তিনি নিজে জানিয়েছিলেন যে রোজ নেটে ১০০-১৫০ ছক্কা মেরে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা দেখা গেল না। ইফতিকার আহমেদ ছাড়া পাকিস্তানের অন্য কোনও মিডল অর্ডার ব্যাটার কোনওরকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না। স্ত্রীকে শেহনওয়াজ দাহানি ৬ বলে ১৬ প্রাণের আক্রমনাত্মক ইনিংস না খেললে হয়তো ১৩০ থেকে ১৩৫-এর মধ্যেই আটকে যেতো পাকিস্তান।
পাওয়ার প্লে-তে পাকিস্তান ব্যাটিং আক্রমণের ২ মেরুদন্ড ফখর জামান এবং বাবর আজমকে তুলে নেন ভুবি ও আবেশ খান। একাধিকবার ফ্রন্টফুটে বাবার আজমকে বিট করে তারপর তাকে আচমকা শর্ট বল দিয়ে বিভ্রান্ত করে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলিয়ে আউট করেন ভুবি। আবেশ খানের গায়ের কাছাকাছি থাকা শর্ট বলকে কাট করতে গিয়েও উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের দস্তানায় বল জমা দেন। আজ রিশভ পন্তের বদলে অতিরিক্ত বোলার হিসেবে আবেশ খানকে খেলিয়েছিলেন রোহিত। পুরোপুরি না হলেও তাঁর ভরসার কিছুটা মান রেখেছেন তিনি।
মূলত মহম্মদ রিজওয়ান (৪২ বলে ৪৩) এবং ইফতিকার আহমেদের (২২ বলে ২৮) ইনিংসের দৌলতে লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছেছে পাকিস্তান। কিন্তু ব্যাটিং করতে নেমে বেকায়দায় ভারত। ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক গড়া নাসিম শাহের বলে আউট হয়ে ফিরে গিয়েছেন রাহুল। সেই ওভারেই ক্যাচ পড়েছে বিরাট কোহলিরও। দুই ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান।