বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে বাংলা দখলের স্বপ্ন কার্যত ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় বিজেপি (bjp) শিবিরের। এরপর তাঁদের লক্ষ্য ছিল, দলীয় নেতৃত্বদের ধরে রাখা। কিন্তু তাতেও অপারক গেরুয়া শিবির। রাজ্যের ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্বেই ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস দলত্যাগ করেছিলেন, এবার পদ্ম শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা ভূষণ সিং (Bhushan Singh)।
নারদ মামলায় রাজ্যের ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করতেই তোলপাড় শুরু হয় গোটা বাংলা জুড়েই। চারিদিকে বিক্ষোভের মধ্যে সোজা নিজাম প্যালেসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। সোমবারই তাঁরা জামিন পেলেও, হাইকোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে যায়। মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমদের ঠিকানা হয় প্রেসিডেন্সি জেল।
এই ঘটনার পর থেকেই বিজেপির অন্দরেই নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরবর্তীতে ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস বিজেপির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আর এবার একই কারণ দেখিয়ে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা ভূষণ সিং।
নির্বাচনের পূর্বে যখন দলবদলের খেলায় মেতে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি, সেই সময় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে গত ৩ রা এপ্রিল পদ্ম শিবিরে নাম লেখান ভূষণ সিং। বিজেপি সরকার বাংলায় এলে প্রভূত উন্নতির স্বপ্ন দেখেই তিনি এই দলে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির ভরাডুবি এবং বর্তমানে বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে দল ছাড়লেন তিনি।
ভূষণ সিং জানান, ‘রাজ্যে এই করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র মানুষের জন্য কিছু না করে, যারা কাজ করছিলেন তাঁদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করল। তাই এই কাজ অন্যদের ভালো লাগলেও, আমার একদমই ভালো লাগে নি। অনেক ভেবে দেখলাম, এই দলে থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যাবে না। তাই আমি এই দল ছাড়ছি’।