বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ ভুগছে চরম অর্থনৈতিক সংকটে। ইতিমধ্যেই ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ ভুটানেরও অবস্থা প্রায় একই রকম। ভুটান এখন ভুগছে ইকোনোমিক ক্রাইসিসে। ভুটানের সঞ্চিত বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার হ্রাস পাচ্ছে দ্রুত।যা নিয়ে চিন্তায় সে দেশের প্রশাসন। প্রতিটি দেশেরই কিছু না কিছু সঞ্চিত বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার থাকে। কিন্তু ইতিমধ্যেই ভুটানের সঞ্চিত বিদেশী মুদ্রায় পড়েছে টান। রীতিমতো তলানিতে এসে থেকেছে সঞ্চিত বিদেশী মুদ্রার পরিমাণ।
ভুটান ভারত ও চীন দেশের মাঝে অবস্থিত একটি ছোট্ট দেশ। ভুটানের জনসংখ্যা মাত্র ৮ লক্ষ। ইতিমধ্যেই ভুটানও বুঝে গেছে তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে বিপদ। তাই আসন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচতে ভুটান আপাতত অতিপ্রয়োজনীয় কৃষিজ যন্ত্রপাতি , কলকব্জা , ট্রাক্টর ছাড়া অন্য কোন যানবাহন কিনতে নারাজ। ভুটানে বন্ধ হয়েছে বিদেশি যান আমদানি।
তবে কি খুব শীঘ্রই শ্রীলংকার মত দুর্দশার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যাবে ভুটানেও?
ভুটানে এবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারদরে ও হয়তো আসতে পারে পরিবর্তন। শুক্রবার ভুটান সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো বিশ্ব থেকে করোনার প্রকোপ সম্পূর্ণভাবে যায়নি এবং করনার ফলে প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষের যে আর্থিক অবনমন ঘটেছে তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। করো না কালীন সময়ে পর্যটন শিল্প নির্ভর ভুটানে তার সর্বাধিক আয়ের রাস্তা পর্যটন শিল্প হয়ে গিয়েছিল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। ফলে ভুটানে এখন আর্থিক দুর্দশা দেখা দিয়েছে। তার উপর রাশি ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারসহ অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিভিন্ন জিনিসপত্রের মূল্য হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। এবং উক্ত এই সমস্ত কারণেই বর্তমানে শয্যাশায়ী ভুটানের অর্থনীতি।
সরকারি নোটিসে আরো বলা হয়েছে যে, ” যাতে দেশীয় অর্থনীতি সংকটে না পড়ে তাই যথেষ্ট পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয় করে রেখেই অন্য সব দিকে কাটছাঁট করে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় করার চেষ্টা করা হচ্ছে মাত্র , চিন্তার সেই অর্থে কোন কারণ নেই।”