বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক মাসে শহরে ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে আর্থিক প্রতারণার (Cyber Fraud) ঘটনা। কলকাতায় হঠাৎ করে একাধিক ভুয়ো কল সেন্টার মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। ফলে নিরীহ মানুষ অনলাইনে নিত্য নতুন উপায়ে প্রতারিত হচ্ছেন। খোয়া যাচ্ছে তাঁদের লক্ষাধিক টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের কাছেও এই ধরনের অভিযোগ বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। পুলিশও সেই মতো তদন্ত করছে আর্থিক প্রতারণা রুখতে।
ইতিমধ্যেই পুলিশের তদন্তে আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। ধীরে ধীরে সেই টাকা প্রতারিতদের ফেরত দিচ্ছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫২ জন প্রতারিতকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাসে অন্যান্য অপরাধের তুলনায় সাইবার অপরাধের হার অনেক বেশি বেড়েছে।
শহরের আনাচে কানাচে একাধিক ভুয়ো কল সেন্টার খুলে অবাধে কাজ চালাচ্ছে পতারণা চক্রগুলি। ফলে এই অপরাধ রুখতে তৎপর পুলিশ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত মাসে এই ভুয়ো কল সেন্টার ধরতে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে ১২টিরও বেশি অবৈধ ও ভুয়ো কল সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
কল সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি ২০০ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগকারীদের খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই টাকা ধীরে ধীরে প্রতারিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ধরনের কোনও ঘটনার অভিযোগ পেলেই দ্রুত কাজে নামছে তারা।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম পুলিশ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, নোডাল অফিসার এবং আইনজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাগুইআটির এক ব্যক্তি এমনই এক প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছিলেন। মোট ৩.৮ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছিল তাঁর।
এছাড়াও এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকের সঙ্গেও ৩.৪ লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছিল। পুলিশের তৎপরতায় তাঁরা তাঁদের খোয়া যাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত পেয়েছেন। পুলিশ পরামর্শ দিয়েছে যে কেউ সাইবার প্রতারণার শিকার হলে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। কিন্তু অভিযোগকারী যদি প্রতারকদের সঙ্গে ওটিপি শেয়ার করে দিয়ে থাকেন, তাহলে বিপদ। কারণ সে ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।