বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুখটান দেওয়ার জন্য আজও বিড়িই (Bidi) পছন্দ করেন বহু মানুষ। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বিড়ির একটা আলাদাই চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ধুঁকতে শুরু করেছে বিড়ি শিল্প (Bidi Industry)। বিড়ি বানানোর কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সারা বাংলাতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সমস্যাটা ঠিক কোথায়?
সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার (Bankura) অন্যতম বড় কুটিরশিল্প বিড়ি বাঁধাই শিল্প। একসময় জঙ্গলমহলে এই শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল কেন্দু পাতা সংগ্রহে যুক্ত ছিলেন হাজার হাজার আদিবাসী ও তপশিলি মানুষ। কিন্তু আজকের দিনে কেন্দু গাছ কাটার জন্য সমবায়গুলিকে দেওয়া সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত গাছ কাটা হচ্ছে না।
আরোও পড়ুন : অনুব্রতর বাড়িতে পতপত করে উড়ছে ‘জয় শ্রী রাম’ পতাকা! কারণ কী? ভোটের আগে তোলপাড় বীরভূম
পাশাপাশি, বছরের পর বছর ল্যাম্পস নামের সমবায়গুলিতে পরিচালন সমিতির নির্বাচন না হওয়ায় ল্যাম্পস পরিচালনা করার ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বিড়ি কারখানার ম্যানেজার অশোক গড়াই জানান, “বিড়ি শিল্প খুবই সঙ্কটে রয়েছে। এর অদূর ভবিষ্যত নেই। পাঁচ-সাত হাজার মানুষ যুক্ত হবে। খুবই শোচনীয় অবস্থা। কারণ বিড়ি ব্যবসা করে আমাদের সংসার চলছে না। কাঁচামালের সংঙ্কট নেই। দাম বেড়ে গিয়েছে। অথচ বিড়ি দাম বাড়েনি।”
আরোও পড়ুন : খরচ হবে না ২০০ টাকাও! হয়ে যাবে সিকিম সফর! অবিশ্বাস্য মনে হলেও একদম সত্যি
বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরেই বলেছি রাজ্যের এই তৃণমূল সরকার আদিবাসী বিরোধী। বাঁকুড়ার অন্যতম বড় শিল্প হল বিড়ি বাঁধা সংগ্রহ। এই ব্যপারে রাজ্য এগিয়ে আসেননি। রাজ্য সরকারের কো-অপারিটেভের উপর কোনও নজর নেই। এর ফলে আদিবাসী ভাইদের যথেষ্ঠ কষ্ট হচ্ছে।”
তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “ওইগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা চারটে করে সদস্য করে দিয়েছে। আদিবাসীদের সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের।” এদিকে, ভোট আসতেই বিড়ি শিল্পের এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়ে আমজনতার দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু কবে মিটবে বিড়ি শিল্পের এই সমস্যা এখন সেদিকেই তাকিয়ে হাজার হাজার মানুষ।