বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু সপ্তাহ হয়ে গেল প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর ছেলে সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। গত ৩ রা জানুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভাইয়ের অকালপ্রয়াণে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর দিদি চুমকি চৌধুরী এবং বোন রিনা চৌধুরী (Rina Chowdhury)। এমনকি রিনা এও দাবি করেছিলেন, ভাই সন্দীপের অসুস্থতা সম্পর্কে তাঁরা অন্ধকারে ছিলেন। এ বিষয়ে এতদিন পর মুখ খুললেন প্রয়াত পরিচালকের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী।
গত ১৩ জানুয়ারি পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে পরিচালক সন্দীপের। তারপরেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে নীরবতা ভঙ্গ করেছেন স্ত্রী বিদিশা। তিনি নিজেও একজন অভিনেত্রী। রিনা চৌধুরীর অভিযোগের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি এমন কথা কেন বললেন তিনি বুঝতে পারছেন না। গত ছয় মাস একটা ফোনও করেননি রিনা। ভাইয়ের কোনো খোঁজ নেননি।
বরং দিদি চুমকি সারাক্ষণ ভাইয়ের বউয়ের পাশে পাশে ছিলেন। বিদিশা জানান, রিনার স্বামী একদিন হাসপাতালে এসে দেখে গিয়েছিলেন। স্বামী, দিদি দুজনের কাছ থেকেই খবর পেয়েছেন রিনা। তা সত্ত্বেও ওই পরিস্থিতিতে শুধু মাত্র প্রচারের জন্য এমন একটা কথা বলে দিলেন! অবাক বিদিশা।
কিন্তু ভাই বোনের মধ্যে যে মনোমালিন্য ছিল এমনটাও কিন্তু নয়। কোনোদিন কোনো তর্ক বিতর্ক কিছুই হয়নি। তবে বিদিশা জানান, ‘অগ্নিশিখা’ সিরিয়াল চলাকালীন একটা ঘটনা ঘটেছিল। রিনা এবং সন্দীপ দুজনেই লিখছিলেন ওই সিরিয়ালে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাদ পড়ে যান রিনা। অন্তরের রাগ থেকেই কি এমনটা বলেছেন তিনি? বিদিশা বলেন, এসব ভাবার মতো পরিস্থিতিতেই তিনি নেই। কারণ স্বামীর অবর্তমানে এখন ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব পড়েছে তাঁর কাঁধেই।
অঞ্জন চৌধুরীর মেজ সন্তান ছিলেন সন্দীপ। ছোট বোন প্রাক্তন অভিনেত্রী রিনা চৌধুরী কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, গোটা বিষয়টা নিয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা। একটি সিরিয়ালের শুটিং করছিলেন সন্দীপ চৌধুরী। সেই সিরিয়ালের সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
তারপরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রিনা তখন জানিয়েছিলেন, তাঁর বৌদিই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাকে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রিনা চৌধুরী। তিনি জানিয়েছিলেন, সন্দীপ চৌধুরী নাকি একেবারেই নিজের যত্ন করতেন না। যত্ন পেতেনও না। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বললেও বলতেন, কাজের খুব চাপ। রিনা চৌধুরীর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছিল।