ধ্বজা চিলে নিয়ে যাওয়ার পর ফের শোরগোল পুরীতে, রথের আগেই মন্দির থেকে উধাও জগন্নাথদেবের…

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর দিন দুই পরেই রথযাত্রা। পুরীতে (Puri Jagannath Temple) চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তার আগেই ঘটে গেল বড়সড় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, জগন্নাথদেবের জন্য তৈরি ঔষধি নৈবেদ্য দশমূল মোদক চুরি হয়ে গিয়েছে। যেমনটা জানা গিয়েছে, রাজবৈদ্যের দেওয়া মোট ৩১৩ টি আমুনিয়া মোদক রাখা ছিল মন্দিরের গারদা ঘরে দেবতাদের প্রতি উৎসর্গ করার জন্য। কিন্তু গত ২১ শে জুন অনাবসর একাদশীর রাতে হঠাৎ দেখা যায়, মোট ৭০ টি মোদক নিখোঁজ গায়েব। এ নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple)।

রথযাত্রার আগেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) চাঞ্চল্য

জানা গিয়েছে, বলরামের বাদগ্রাহী হলধর দাস মহাপাত্র প্রথম লক্ষ্য করেন যে মোদক কম রয়েছে। তারপরেই তিনি শ্রীজগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) প্রশাসনের প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে এ বিষয়ে মন্দির প্রশাসনের তরফে কিছুই জানানো হয়নি এ বিষয়ে।

কী এই দশমূল মোদক: এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, কী এই দশমূল মোদক যা চুরি যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে এত শোরগোল? আসলে কথিত আছে, স্নানযাত্রার পরেই জ্বরে পড়েন জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা। জ্বর থেকে সেরে ওঠার জন্য তাঁদের দশমূল মোদক নামে আয়ুর্বেদিক মোদক পথ্য হিসেবে দেওয়া হয়। স্নানযাত্রার পূর্ণিমার পরের এক পক্ষকাল তাঁদের এই পথ্য দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

আরো পড়ুন : DA নিয়ে আন্দোলনই সার! শেষ হাসি হাসল শাসকই, পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূলকে দেদার ভোট সরকারি কর্মচারীদের

রথ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে: জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) এ নিয়ে বিতর্ক চলার মাঝেই অবশ্য রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে রথযাত্রা উপলক্ষে। প্রতি বছর রথযাত্রা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হয় পুরীতে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চলছে বিশেষ কড়াকড়ি।

আরো পড়ুন : দুর্ঘটনার পরেই নড়ল টনক, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-এর উড়ানে নিষেধাজ্ঞা দাবি, মামলা সুপ্রিম কোর্টে

এবারে ২৭৫ টি সিসিটিভি ব্যবহার করা হবে বলে খবর। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ। কুইক অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে যেকোনো রকম দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৯ টি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ২৬৫ শয্যা এবং ৬৪ টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৭৮ জন ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীরাও থাকছেন।