৮ লাখে চাকরি, ২ লাখ দিয়ে ট্রান্সফার! সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ অভীকের নয়া কীর্তি ফাঁস, তোলপাড় রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে অভীক দে। সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ এই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সামনে এল আর একটি বড় খবর! ‘থ্রেট কালচার’, দাদাগিরি, আরজি করে বিতর্কিত ‘উপস্থিতি’র পর এবার শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়াল অভীকের (Avik Dey) নাম।

  • সন্দীপ-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ (Avik Dey)!

বিগত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি অভীক। আরজি করে তাঁর ‘উপস্থিতি’ নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল। এরপর এক এক করে সামনে আসতে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ। এবার এক নতুন অভিযোগ উঠল এই অভীকের বিরুদ্ধে। উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক ট্রান্সফারের (School Teacher Transfer) ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ইস্যু করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অভীক এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।

  • অভীকের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে?

সম্প্রতি মেলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি (BJP) নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অপরাধীদের সাজার ব্যবস্থা করুক সিবিআই, দাবি পদ্ম শিবিরের। পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলির জন্য লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হতো বলে দাবি করেছেন মৃত্যুঞ্জয়।

আরও পড়ুনঃ রাতের ঘুম উড়ল ডাক্তারদের! আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই বড় খবর, নয়া নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য ভবনের

বিজেপি নেতা বলেন, ‘উৎসশ্রী প্রকল্পে যারা মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বদলি নিয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে তৃণমূলের অভীক দে-র সিন্ডিকেট ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে বদলির চেষ্টা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পোস্ট না থাকলে পোস্ট তৈরি করে ট্রান্সফার করা হয়েছে। তিনটি বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি পছন্দ করলে ৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে’।

Avik Dey

মৃত্যুঞ্জয়ের আরও দাবি, ২০১৭ সালে নিয়োগ এবং ২০২০-২১ সালে অনেককেই বলতে শুনেছেন, ৮ লক্ষ দিয়ে চাকরি মিলেছে আর ২ লক্ষ দিয়ে ট্রান্সফার! আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় পরিস্থিতির মাঝে অভীকের (Avik Dey) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ফুঁসে উঠেছেন ডাক্তারদের একটি বড় অংশ।

জুনিয়র চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, ‘কোনও বেআইনি কার্যকলাপ ধরা পড়লে এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দ্রুত সেই অ্যাকশন নেওয়া হোক’। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাসের কথায়, অভীকের (Avik Dey) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ, সিবিআই তদন্ত করে দেখুক। আমাদের আলাদা করে কিছু বলার নেই।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর