বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের গোড়াতেই ইডি পেটানোর সূত্রে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। আন্দোলনে সরব হয়েছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। লোকসভা ভোটের আগে জ্বলন্ত ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। গত কয়েকমাসে পরিস্থিতি অবশ্য বদলেছে। এই আবহে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার আগেই শাহজাহানের কাকার বিরুদ্ধে উঠল বিরাট অভিযোগ।
শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) কাকার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ উঠেছে?
জমি দখল, মহিলাদের ওপর নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগে চলতি বছর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছিল ভূরি ভূরি অভিযোগ। এরপর প্রশাসনিক স্তরে সেই ক্ষোভ প্রশমনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত কয়েকমাসে শাহজাহানদের ‘দখল নেওয়া’ অনেক জমি ফিরে পেয়েছেন প্রকৃত মালিকরা। এবার জমি ফেরানোর প্রক্রিয়ার মাঝেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাহজাহানের কাকার বিরুদ্ধে। বাধার সম্মুখীন হয়ে ফিরে আসে পুলিশ-প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, একদা সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) কাকা শেখ জব্বারের বিরুদ্ধে ১০ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ এনেছিলেন অহেদ আকুঞ্জি নামের একজন। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সম্প্রতি তাঁকে জমি ফেরতের তোরজোড় শুরু করে প্রশাসন। এদিন সকাল থেকে শুরু হয় মাপজোক। অভিযোগ, সীমানা-খুঁটি পোঁতার সময়েই সেখানে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জব্বার। লোকজন নিয়ে সবাইকে শাসানি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ তিলোত্তমার যোনিদ্বারে মিলেছে অন্য মহিলার DNA! কে তিনি? RG Kar কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
ভূমি দফতরের আধিকারিক, পুলিশের উপস্থিতিতেই জমি দখলে অভিযুক্ত বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কোনও আইন চলবে না। এখানে শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের নির্দেশ অনুযায়ীই চলতে হবে’। মুখ্যমন্ত্রীর সন্দেশখালি সফরের ঠিক আগে জব্বারের ‘হম্বিতম্বি’র ফলে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্বের অস্বস্তি বেড়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা, সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দেশখালি ১ ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, আদালতের নির্দেশ পালন করতে দেওয়া হয়নি। কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আদালতে জানানো হবে। অন্যদিকে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘সবার উচিত আদালতের নির্দেশের মান্যতা দেওয়া। যারা সেটা করবে না, আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে’।
শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) কাকার ‘শাসানি’ দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, ‘শেখ শাহজাহানদের তৃণমূল কংগ্রেস কতখানি ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে, এখান থেকেই বোঝা যায়!’ অন্যদিকে সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছিলাম, শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবল পুলিশ-প্রশাসন-আইন-আদালত কিছুই মানে না’।