বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের প্রথম থেকেই বিভিন্ন সময় বিতর্কমূলক বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West bengal) নাম বারবার উঠে আসছে। বহুবার বহু সমাচোলচনার শিকার হয়েছে বাংলা। কখনও অভিযোগ উঠেছে সেখানে করোনা (COVID-19) আক্রান্তদের সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না, তো আবার কখন মৃতের সংখ্যায় গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র থেকে টিম পরিদর্শনে আসলে, তাঁদেরকেও অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বাংলার বিরুদ্ধে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে ফিরিয়ে আনতে নারাজ রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের জেরে সংকটকালীন অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাবসী ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হয়েছে এবং হচ্ছেও। এবার দেশ মধ্যস্থ বিভিন্ন রাজ্যে কাজের জন্য আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে আজমির শরীফের এবং কেরালা থেকে দুটি ট্রেনে করে রাজ্যবাসীকে ফিরিয়ে আনলেও, বর্তমানে আর ট্রেনে ফিরিয়ে আনতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজ্যগুলোকে শুধুমাত্র ট্রেন টিকিটের ১৫ শতাংশ দিতে হবে ভিন রাজ্যে গিয়ে আটকে পড়া বহু শ্রমিক এর আগেই লকডাউনের মধ্যে যান চলাচলের অভাবে পায়ে হতে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাঁদের বিষয় নজরে আসতেই, সরকার তাঁদের সাহায্য করেছিল। বর্তমানে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, রাজ্যগুলকে টিকিটের মাত্র ১৫ শতাংশ ভাড়া দিতে হবে, তাতেও রাজী হচ্ছে না বাংলার সরকার এমন অভিযোগ।
মহারাষ্ট্র সরকারের প্রস্তাবে রাজী হলেও, পরবর্তীতে নাকচ করা হয় মহারাষ্ট্র সরকার থানে থেকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাবার অনুমতি চেয়েছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী প্রথমে সম্মতি জানালেও, পরবর্তীতে তিনি তা অস্বীকার করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাবার্তা হয় এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এখনও অবধি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৬৭ টি ট্রেন চালিয়েছে রেল পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাবার জন্য এখনও অবধি ৬৭ টি ট্রেন চালিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে ৩৫ টি ট্রেন ইতিমধ্যেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেছে এবং ৩২ টি ট্রেন পৌছাবার লক্ষ্যে রয়েছে। বিহারে ২৪ টি এবং উত্তরপ্রদেশে ১৫ টি ট্রেন ফেরার অনুমতি দিয়েছে সেই রাজ্য সরকার। এছাড়াও আরও ২১ টি ট্রেন পরিষেবার দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।