বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দেশে পুরোনো পেনশন স্কিমের (Old Pension Scheme) প্রসঙ্গে বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু জায়গায় আবার কর্মচারীরা ধর্মঘটও করছেন। তবে, এবার কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের পুরোনো পেনশন স্কিমের পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধর্মঘট বা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে সতর্ক করেছে। পাশাপাশি, তাঁদেরকে ধর্মঘটে না অংশগ্রহণ করতেও বলা হয়েছে।
সম্প্রতি, ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (DoPT) থেকে ওই প্রসঙ্গে সমস্ত মন্ত্রকে পাঠানো চিঠিতে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে যে “জয়েন্ট ফোরাম ফর রিস্টোরেশন অফ ওল্ড পেনশন স্কিম”-এর ব্যানারে জাতীয় জয়েন্ট কাউন্সিল অফ অ্যাকশন মূলত, পেনশন স্কিমের প্রসঙ্গে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে, কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে জারি করা ওই নির্দেশাবলীতে সরকারি কর্মচারীদের যে কোনো ধরনের ধর্মঘটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, এগুলির মধ্যে গণ আকস্মিক ছুটি, ধীর গতিতে বসে থাকা বা সিসিএস (আচরণ) বিধিমালা, এছাড়াও, ১৯৬৪-র বিধান লঙ্ঘন করে এমন কোনো পদক্ষেপ যেগুলি বিধির ৭ নম্বর ধারা ভেঙে ধর্মঘটে উস্কানি দেয় এমন পদক্ষেপও সামিল রয়েছে। পাশাপাশি, মৌলিক বিধিমালার বিধি ১৭ (১)-এর বিধান অনুসারে, বিনা অধিকারে দায়িত্ব থেকে অনুপস্থিত থাকার জন্য কোনো কর্মচারীর বেতন এবং ভাতা গ্রহণযোগ্য হবে না।
এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক/বিভাগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের এই বিভাগের মাধ্যমে জারি করা আচরণ বিধি এবং সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে বৈধতা পাওয়া অন্যান্য বিধানের অধীনে নির্দেশাবলী সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত করা যেতে পারে। এদিকে, একটি সার্কুলারে বলা হয়েছে যে, যদি কোনো আধিকারিক ধর্মঘট অথবা বিক্ষোভে অংশ নেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।
অর্থাৎ, প্রতিবাদ অথবা ধর্মঘটের সময় আবেদনের ভিত্তিতে কর্মচারীদের সাধারণ ছুটি বা অন্য ধরণের ছুটি না দেওয়ার নির্দেশও জারি করা যেতে পারে। পাশাপাশি এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ইচ্ছুক কর্মচারীদেরকে অফিস প্রাঙ্গনে বাধামুক্ত ভাবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মূলত, ওই আদেশের ভিত্তিতে পশুপালন ও দুগ্ধ বিভাগের কর্মচারীরা পুরোনো পেনশন স্কিমের দাবিতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।