বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর (Kashmir Attack)। গত ২২ শে এপ্রিল পহেলগাঁও এর বৈসরন উপত্যকায় ঘুরতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ জন, যাঁদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরি বাদে বাকি সকলেই পর্যটক। উপরন্তু তাঁদের মধ্যে রয়েছে আরো একটি সাদৃশ্য। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। রীতিমতো নাম, ধর্ম পরিচয় খতিয়ে দেখে তারপর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই ২৫ জনকে। ভারতে এখনো পর্যন্ত ‘ব্যতিক্রমী’ এই জঙ্গি হামলার (Kashmir Attack) তদন্তে বিভিন্ন বিষয়ই সামনে আসছে যা শিহরণ জাগানো। এবার সামনে এল আরো এক তথ্য যা ঘুরিয়ে দিতে পারে তদন্তের অভিমুখ।
কাশ্মীর হামলায় (Kashmir Attack) নতুন ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ্যে
পহেলগাঁওতে হামলার (Kashmir Attack) ঘটনায় ইতিমধ্যেই দায় স্বীকার করেছে লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন। উপরন্তু সেদিনের জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের যে সরাসরি যোগ রয়েছে তারও প্রমাণ হাতে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত জঙ্গি হাসিম মুসা ছিল পাক স্পেশ্যাল ফোর্সের প্রাক্তন প্যারা কমান্ডো। এবার জানা গেল, শুধুমাত্র গুলি চালিয়ে হত্যা নয়, আরও বড়, আরও ভয়ানক পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের।
অন্য প্ল্যান ছিল জঙ্গিদের: এবিপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্রের খবর, হামলার আগে নাকি ৪ বার রেইকি করা হয়েছিল। আরো বড় কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা জঙ্গিদের ছিল বলে খবর সূত্রের। ড্রোনের মাধ্যমে বোমা ফেলার (Kashmir Attack) পরিকল্পনাও নাকি ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়কেই শুধুমাত্র নিশানা করা যেত না। তাই ওই পরিকল্পনা বাতিল করে পরিচয় জেনে জেনেই গুলি করা হয় বলে খবর সূত্রের।
আরো পড়ুন : পালাবদলের বছর ঘুরতেই বিরাট পরিবর্তন! পরিচয়টাই বদলে যাবে বাংলাদেশের?
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ছিল ফাঁক: সেদিনের ঘটনায় যাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছে, আর্মি ক্যাম্পের সামনে দিয়েই সবাই গেলেও বৈসরন উপত্যকায় ছিল না কোনও পুলিশ বা সেনা। আর এই সুযোগটাকেই জঙ্গিরা কাজে লাগিয়েছিল বলে খবর সূত্র মারফত। পহেলগাঁও এর অন্যান্য সাইট সিনগুলিতে সেনা বা আধাসেনার ক্যাম্প রয়েছে কাছেই, নজরদারিও রয়েছে। কিন্তু দুর্গম বৈসরন উপত্যকা থেকে নিকটবর্তী সিআরপিএফ ক্যাম্পের দূরত্ব ৬ কিমি এবং পুলিশ থানা সাড়ে ৬ কিমি।
আরো পড়ুন : ভরা মঞ্চে পুলিশ আধিকারিককে চড় মারতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক
সূত্রের খবর, জঙ্গিরা বারবার রেকির মাধ্যমে দেখে নিয়েছিল, বৈসরনে কিছু ঘটলে সাহায্য আসতে অনেকটাই সময় লেগে যাবে। তাই বৈসরন ভ্যালিকেই হামলার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে খবর।