বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল “লক্ষ্মীর ভান্ডার” (Laksmir Bhandar)। এবার এই প্রকল্পের সুবিধা আরও ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলা পেতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই, এখন রাজ্যজুড়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে অর্থ পাচ্ছেন প্রায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মহিলা। এমতাবস্থায়, নতুন করে আরও ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ লক্ষ ৯৮ হাজারে।
মূলত, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই ফের সম্পন্ন হচ্ছে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি। সেইখানেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য জমা পড়েছে প্রায় ১১ লক্ষ ১৬ হাজার আবেদন। এদিকে, ওই বিপুলসংখ্যক আবেদনের মধ্য থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার আবেদন অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী বুধবার নবান্নে সব দফতরকে নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রকল্পের নতুন তথ্য তুলে ধরা হবে।
শুধু তাই নয়, ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী নতুন উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সূচনাও করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের খরচ হচ্ছে প্রায় ১,০৩০ কোটি টাকা। এদিকে, নতুন এই উপভোক্তারা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে প্রতি মাসে এই খরচের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
অর্থাৎ, আগামী মাস থেকেই এই প্রকল্পের সামগ্রিক খরচের পরিমাণ পৌঁছে যাবে প্রায় ১,১০০ কোটি টাকায়। এই প্রসঙ্গে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই প্রকল্পের জন্য বার্ষিক খরচ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৩,২০০ কোটি টাকা।” এদিকে, ইতিমধ্যেই নবান্ন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছিল যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা থাকলেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন আবেদনকারীরা। তাই এই ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্কের তথ্য হাতে পাওয়ার পরই তাঁদেরকে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছরের ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের কথা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি।