বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ। বঙ্গের রাজনীতির ওপরেও তার প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম বিরোধীদের মধ্যে কিন্তু সংঘাত অব্যাহত। এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।মিছিলে পা মিলিয়েছেন তিনদিন ধরে।
একপ্রকার সিএএ ও এনআরসি রাজ্যে লাগু করতে না দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের বিরোধিতা করে মিছল ও জনসভা মঞ্চ থেকে কটাক্ষও করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে এই দুই ইস্যুতে বিজ্ঞাপন ঘিরে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সোমবার এনআরসি ও সিএএ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের কোনো অংশে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না বলে সরাসরি জানাল হাইকোর্ট।
অর্থাত্ এই দুই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যতদিন অবধি মামলা চলবে ততদিন রাজ্যের কোনো প্রান্তে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দিল আদালত। যদিও‘এরাজ্যে লাগু হবে না NRC, CAA.’জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। এবং রায়দানের পরেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট্ করেছে তৃণমূল। একইসঙ্গে, প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি টাকায় কোনও বিজ্ঞাপন চলবে না।
এর আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছিলেন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার বন্ধ করতে হবে।এবার বিজ্ঞাপন নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা বিজ্ঞাপন দেওয়ার যুক্তি দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন না মানার কথা জানিয়েছেন তা নিয়ে নাকি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বপ্ন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘‘সিএবি-র মাধ্যমে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কার্যকরী করবে না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃত সংবিধানের ২৫৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছেন। নিজের হিংসাত্মক ভোটব্যাঙ্ককে সহায়তা করতে তিনি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করছেন।’’