বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাবরির (Babri Masjid) পর এবার জ্ঞানবাপী (Gyanvapi)। হিন্দু পক্ষের হয়ে বড় রায় দিল আদালত। এবার থেকে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে পুজো করা যাবে বারণসীর (Varanasi) এই মসজিদের ভেতর সিল করা ওজু খানায়। সম্প্রতি ASI এর যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে দাবি করা হয়েছে, হিন্দু মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। তারপর থেকেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি তুলেছে, এই মসজিদ যেন হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আর এবার সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বড় রায় দিল বারাণসী হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়কে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। রাজনীতিবিদদের মতে, রাম মন্দির নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে জ্ঞানবাপী নিয়ে আদালতের এই রায় নয়া মাত্রা যোগ করবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী নিয়ে বিতর্ক কয়েক দশকের পুরনো। তবে বিতর্ক জোরালো হয় ২০২২ সাল থেকে। ঐ বছর পাঁচজন হিন্দু মহিলা মসজিদের বাইরের দেওয়ালে মা শ্রীনগর গৌরীর পুজো করার অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। মসজিদ ভবনের ভিডিওগ্রাফিক সমীক্ষা শুরু হলে একটি বিশেষ কাঠামোও উদ্ধার হয়। হিন্দু পক্ষের দাবি, সেটি একটি শিবলিঙ্গ যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি সেটি একটি ফোয়ারা।
আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধীর গাড়িতে ‘হামলা’ মালদহে, ভাঙল গাড়ির কাঁচ! ক্ষুব্ধ অধীর, তৃণমূলকে নিশানা কংগ্রেস নেতার
এসবের মাঝে জেলা আদালত মসজিদ কমিটির দাবি খারিজ করে দেয়। এরপর হিন্দু পক্ষ উদ্ধার হওয়া কাঠামোর (শিবলিঙ্গ বা ফোয়ারা) কার্বন ডেটিং করার আবেদন জানালে বারাণসী আদালত তা খারিজ করে দেয়। এরপরই হিন্দুপক্ষ পৌঁছায় এলাহাবাদ আদালতে। বাদি বিবাদী দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ নির্দেশ দেয়। এছাড়া কার্বন ডেটিং-সহ ‘শিবলিঙ্গ’র বয়স নির্ধারণেরও নির্দেশ দেয় আদালত।
শুরু হয় তদন্ত এবং গত ২৫ জানুয়ারি ASI রিপোর্ট হিন্দু ও মুসলিম পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এবার বুধবার উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, এবার থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে সিল করা বেসমেন্টে পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা। একথা বলাই বাহুল্য যে, আদালতের এই রায় মুসলিম পক্ষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। একই সাথে ASI রিপোর্টকে মান্যতা দিতেও অস্বীকার করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন।