বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের আবহে সরকারি কর্মীদের জন্য চিন্তার খবর! মাঝেমধ্যেই সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে জনতার মধ্যে নানান রকম অসন্তোষ দেখা যায়। কিছু কিছু সরকারি কর্মীর (Government Employees) বিরুদ্ধে ধীর গতিতে কাজের অভিযোগও ওঠে। এই আবহে এবার কড়াকড়ির পথে হাঁটতে পারে সরকার। সম্প্রতি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সরকারি কর্মীদের (Government Employees) চাকরি নিয়ে টানাটানি?
রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বৈঠক করেন। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, যে সকল সরকারি কর্মচারীদের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের ‘জনস্বার্থে’ ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
রিপোর্ট বলছে, সিসিএ পেনশন রুলের মৌলিক ধারা ৫৬ (জে)-র কথা তুলে ধরে সকল কেন্দ্রীয় সচিবদের নাকি এই মর্মে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন পিএম মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সকল সরকারি কর্মী (Government Employees) ঠিকভাবে নিজের কাজ করেন না, যাদের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, ‘জনস্বার্থে’ তাঁদের অবসরে পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
আরও পড়ুনঃ আনন্দী-দীপার জয়জয়কার! পর্ণা, ফুলকি কোথায়? পুজো স্পেশ্যাল টিআরপি তালিকায় ওলটপালট সব!
এদিকে স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেকেই মনে করছেন, সরকারি কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে বারবার নানান অভিযোগ উঠছে তাতে সরকারও সন্তুষ্ট নয়। সেই কারণেই এবার ‘কড়া’ নির্দেশ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রিপোর্ট বলছে, সরকারি কর্মীদের এই রকম বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলে তাঁকে ৩ মাসের আগাম বেতন অথবা ৩ মাসের আগাম নোটিশ দিতে হয় সরকারকে। সিসিএ পেনশনের রুলের ৪৮ নং ধারা বলছে, যে সকল সরকারি কর্মচারী ৩০ বছর অথবা তার বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন তাঁদের ‘জনস্বার্থে’ ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে সরকার।
এর ফলে ৫৫ বা তার বেশি বয়সি সরকারি কর্মীদের (Government Employees) ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এখনও অবধি এই নিয়ম লাগু করে সরকারি দফতরগুলি ৫০০ আধিকারিককে ছাঁটাই করেছে।