বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলা ঘিরে উত্তাপ ছাপিয়ে যাচ্ছে চৈত্রের গরমকে। লম্বা সময় ধরে চলতে থাকা এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি চলে গিয়েছে। মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন বটে যে যোগ্যদের চাকরি যাবে না। তাঁদের স্কুলে ফিরে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশই বিনা চাকরিতে স্কুলে ফিরতে রাজি নন। বরং বিক্ষোভে নেমে শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সরাসরি সংঘর্ষে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
শুক্রবারই চাকরিহারাদের (SSC Scam) নিয়ে বৈঠক
বুধবারই কসবায় ডিআই অফিসে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়ে শিক্ষকদের একাংশ। যারা ডিআই অফিস অভিযানে গিয়েছিলেন তাদের উপরে চড়াও হন পুলিশ কর্মীরা। নির্বিচারে চলে লাঠিচার্জ। এমনকি লাথি, গলাধাক্কাও জোটে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের। পালটা সল্টলেকে এসএসসি ভবনের সামনে রাতভর ধর্নায় বসেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। বৃহস্পতিবার শহরে মহামিছিলেরও আয়োজন করেছিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা (SSC Scam) শিক্ষক শিক্ষিকারা। এমতাবস্থায় শুক্রবার চাকরিহারাদের জন্য এল বড় আপডেট।
কারা কারা উপস্থিত থাকবেন: আগামীকাল বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং এসএসসি (SSC Scam) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। জরুরি পরিস্থিতিতে ডাকা বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে দুপুর দুটো থেকে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আট জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে। কিন্তু যে প্রশ্নটা বারংবার উঠে আসছে তা হল, এই বৈঠকে কি কোনো সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে?
আরো পড়ুন : ‘আপাতত কমিশনের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ নয়’, সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি
বৃহস্পতিবার হয় মহামিছিল: বৃহস্পতিবার চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC Scam) ডাকে মহা মিছিল এবং এসএসসি ভবন অভিযানের সাধারণ মানুষদেরও যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। এদিনের মিছিলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদেরও। আরজিকর আন্দোলনের পরিচিত মুখ দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়া, অনিকেত মাহাতোদের। মিছিলে পা মেলান অভিনেতা বাদশা মৈত্রও।
এদিকে বুধবার শিক্ষকদের উপরে লাঠিচার্জের ঘটনায় মুখ খোলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও তাঁর পালটা প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষকদের স্কুলে ফিরতে, তাহলে তাঁরা কেনই বা ডিআই অফিস, সরকারি দফতরে অভিযান করবেন? তিনি আরো বলেন, শিক্ষা দফতরে গিয়ে ভাঙচুর করবেন, ফাইল ছিঁড়ে ফেলে দিন, এসব কখনো পুলিশ বলতে পারে? পুলিশ তো বাধা দেবেই। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন স্কুলে যান। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকালের বৈঠকের দিকেই নজর রয়েছে সব মহলের।