এবার SEBI-র তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! আদানি গ্রুপের এই কোম্পানিগুলিতে দ্রুত বেড়েছে বিদেশি অর্থ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুতেই আদানি গ্রূপের (Adani Group) প্রসঙ্গে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছিল। যার জেরে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয় আদানি গ্রূপ। শুধু তাই নয়, তারপর থেকেই এই গ্রুপের কোম্পানিগুলির উপর নজর রাখছে SEBI (Securities and Exchange Board of India)।

ইতিমধ্যেই SEBI পর্যবেক্ষণ করেছে যে, আদানি গ্রুপের ৬ টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিক থেকে FPI (Foreign Portfolio Investment)-এর সংখ্যা বাড়ছে। এই পর্যবেক্ষণের সাথে যুক্ত এক ব্যক্তি এই বিষয়টি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, FPI হল বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী।

আদানি গ্রূপের ৬ টি কোম্পানিতে ত্রৈমাসিক বিদেশি শেয়ারহোল্ডিং ট্রেন্ডের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক থেকে FPI-এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আদানি গ্রুপের এই ৬ টি কোম্পানি হল আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন, আদানি পোর্টস এবং আদানি পাওয়ার।

FPI বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ গুণ: উল্লেখ্য যে, আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজে FPI-এর সংখ্যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ১৩৩ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ৪১০ হয়েছে। এইভাবেই FPI-এর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এদিকে, আদানি টোটাল গ্যাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ৬৩ থেকে বেড়ে ৫৩২ হয়েছে।

পাশাপাশি, আদানি ট্রান্সমিশনে FPI-এর সংখ্যা ৬২ থেকে বেড়ে ৪৩১ হয়েছে। এছাড়াও, আদানি গ্রিনে এই সংখ্যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৯৪ থেকে বেড়ে ৫৮১ হয়েছে। তবে, এই পরিসংখ্যানে এসিসি, অম্বুজা সিমেন্টস এবং এনডিটিভির হোল্ডিং যুক্ত করা হয়নি। কারণ এই কোম্পানিগুলি পরে গ্রুপে এসেছিল।

adani group(1)

তদন্ত করছে SEBI: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আদানি গ্রুপের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মালিকানা এবং ন্যূনতম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত করছে SEBI। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে, এই রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারেও বড় পতন পরিলক্ষিত হয়। যদিও আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর