বড় স্বস্তি সাধারণ মানুষের! খুচরোর পর এ বার বড় পতন পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারেও

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তির খবর শোনাল কেন্দ্র। অবশেষে লাগাম টানা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হারে। পাইকারি মূল্যের সূচক অনুযায়ী, গত ২৯ মাসে সর্বনিম্ন হয়েছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। চলতি বছরের মার্চে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১.৩৪ শতাংশ। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখান থেকেই সামনে এসেছে এই তথ্য। 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের অন্যতম কারণ উৎপাদিত পণ্য এবং জ্বালানির দাম কমে যাওয়া। যদিও একই সময়ে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি আগের তুলনায় বেড়েছে। টানা ১০ মাস ধরেই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৮৫ শতাংশ দেখিয়েছিল। গত বছর মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৪.৬৩ শতাংশ। একইসঙ্গে, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.৮১ শতাংশ। সেখান থেকে বেড়ে এটি মার্চে ৫.৪৮ শতাংশ হয়েছে। 

inflation
inflation

সোমবার এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। সেখানে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার কমার কারণ হল বেশ কিছু জিনিসের দাম কমে যাওয়া। ধাতু, কিছু ধরনের খাদ্যদ্রব্য, কাপড়, খনিজ পদার্থ, রাবার ও প্লাস্টিকের পণ্য, অপরিশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কাগজ ও কাগজের দ্রব্যের দাম কমে গিয়েছে। এর ফলে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হারও কমে গিয়েছে অনেকটাই। 

এই সময়ের মধ্যে গম এবং ডাল ৯.১৬ শতাংশ এবং ৩.০৩ শতাংশ অবধি সস্তা হয়েছে। একই সময়ে সবজির দাম ২.২২ শতাংশ কমেছে। তেলের বীজের মুদ্রাস্ফীতির হার ১৫.০৫ শতাংশ কমেছে। জ্বালানি এবং শক্তির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১৪.৮২ শতাংশ। মার্চে তা কমে হয়েছে ৮.৯৬ শতাংশ। উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য ০.৭৭ শতাংশ কমেছে। গত মাসে এগুলির মুদ্রস্ফীতির হার ১.৯৪ শতাংশ ছিল।

পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার গত ২৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে রয়েছে এই মুহূর্তে। একইসঙ্গে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারও আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে সস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। মার্চ মাসের কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স ছিল ৫.৬৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতেই যা ছিল ৬.৪৪ শতাংশ। সূচক এই হারে নেমে যাওয়ার পর মার্চে খুচরো মুদ্রাস্ফীতিও নেমে আসে। গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রয়েছে এটি। এর মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত সীমার মধ্যেই আবারও পৌঁছে গেল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর