গোটা এশিয়ার মধ্যে সেরা! নয়া কীর্তি স্থাপন হল ডুয়ার্সে, শুনে গর্বিত হবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: চা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে খুবই একটি প্রয়োজনীয় পানীয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে হোক  বা বিকেলে এক কাপ চা না হলে যেন জমে না । আবার অনেক সময় মাথা যন্ত্রণা হলে আয়ুর্বেদিক ওষুধের মতন কাজ করে গরম চা। কিন্তু এই চা খুব প্রয়োজনীয় হলেও বর্তমানে চা তৈরি করতে প্রচুর খরচা হয়ে যাচ্ছে চা মালিকদের।

এবার সেই খরচা কমাতে একটা নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসা হয়েছে ডুয়ার্সের চ্যাংমারি চা বাগানে যা এশিয়ায় সর্ব প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে। ডুয়ার্সের চ্যাংমারি চা বাগানে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এবার কাজে লাগানো হবে সৌরশক্তিকে। সেই জন্য বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। এই সোলার প্যানেল  চা-বাগানের কারখানার কাজ থেকে শুরু করে বাগান কর্মচারীদের আবাসে বিদ্যুতের আলোও পৌঁছে দেবে। প্রসঙ্গত , এমনই নজিরবিহীন ব্যবস্থা চালু করেছে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম চা বাগান চ্যাংমারি।

আরোও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান! এই রুটে চলবে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন, যাত্রীদের জন্য বড় উপহার ভারতীয় রেলের

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এমন বড় আকারের ব্যবস্থা শুধু ভারত কেন, এশিয়া মহাদেশের চা উৎপাদক দেশগুলির কোনও বাগানে এর আগে দেখা যায়নি  । এই সৌরশক্তির থেকে এখন প্রতিদিন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ইউনিট। তা সোজা চলে যাচ্ছে কারখানায়। সেখান থেকে বাগানের অন্যান্য অংশে সরবরাহ করা হচ্ছে। কেবল পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নয়, বর্তমান দর ধরলে এর ফলে বাগান কর্তৃপক্ষের বছরে সাশ্রয় হবে ৮০ লক্ষ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা। তবে এই প্রকল্প তৈরি বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে ৪.২৫ কোটি টাকা।

আরোও পড়ুন : খুব তাড়াতাড়িই দেখা যাবে যুবরাজের বায়োপিক! কে হবেন সেই সুপারস্টার? জানিয়ে দিলেন যুবি

জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে চ্যাংমারির কারখানা থেকে কিছুটা দূরে ১ হেক্টর জমিজুড়ে মোট ৪৯০টি সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে।  যেখানে দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১০৪০ কিলোওয়াট।প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করেছে টাটা গোষ্ঠী।  অন্যদিকে যেহেতু এখন শীতকাল চা বাগান গুলিতে  শ্রমিকরা  কাজ করছে না তাই বর্তমানে বাগানজুড়ে ১৫টি পাম্পের সাহায্যে কৃত্রিম জলসেচের কাজ ওই সৌরশক্তির মাধ্যমেই হচ্ছে ।

SOLAR PANEL

 

এই নিয়ে ডুয়ার্সের চ্যাংমারি চা বাগানের ম্যানেজার গজেন্দ্র শিসোদিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে সৌরশক্তি উৎপাদনের যে প্যানেলগুলি বসানো হয়েছে তা বাই-ফেসিয়াল। অর্থাৎ সূর্যের দিকে তাক করে থাকা প্যানেলের অংশ, কিংবা নীচের অংশ, দুটি দিকই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এমন ব্যবস্থা গোটা দেশের চা শিল্পের নিরিখে প্রথম।’ এমনকি এর বেশি রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন নেই । সৌর প্যানেলগুলি সপ্তাহে একদিন করে ভালো মতো পরিষ্কার করে নিলেই হবে ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর