বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ক্রমশ। মাস কয়েক আগে বাংলা, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্য থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বাংলাদেশি নাগরিকরা, যারা অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছে ভারতে (India)। এমতাবস্থায় নিরাপত্তায় ঝুঁকিও বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। তাই এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশে চিরতরে দাঁড়ি টানতে নতুন অভিবাসন বিল পাশ হল সংসদে।
অনুপ্রবেশ রুখতে নয়া বিল লোকসভায় (India)
নতুন অভিবাসন বিল এবং বিদেশি নাগরিক বিল ২০২৫ পাশ হল লোকসভায়। নতুন বিল পাশ নিয়ে দীর্ঘ তিন ঘন্টা আলোচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট বলেন, ভারত (India) কোনো ধর্মশালা নয়। জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি আসবে, এমন কোনো ব্যক্তিকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শাহের কথায়, ‘কেউ যদি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান, সেই কারণে এ দেশে আসতে চান, তাকে সবসময়ই স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যারা বিপজ্জনক, তাদের এই দেশে কোনো জায়গা নেই। এই দেশ কোনো ধর্মশালা নয়’।
নিরাপত্তায় জোর দিতে কড়া বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর: অমিত শাহ আরো বলেন, ব্যবসার কাজে, পর্যটক হিসেবে, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য যদি কেউ এ দেশে (India) আসতে চান, তাহলেও তাঁদেরও এই দেশে সবসময় স্বাগত জানানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, এই নয়া বিল যেমন দেশের নিরাপত্তা আরো মজবুত করবে আরো সেই সঙ্গে দেশে (India) অর্থনীতি এবং ব্যবসাও ফুলে ফেঁপে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিনের আলোচনায় স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ।
আরো পড়ুন : Ghibli-র আড়ালে লুকিয়ে ‘মরণফাঁদ’? আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যাচ্ছে ছবি?
উঠল পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশি প্রসঙ্গ: অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে বহু মানুষ অনুপ্রবেশ করছেন ভারতে (India)। আগে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন অসম দিয়েও প্রচুর অনুপ্রবেশ হয়েছে। যদিও বর্তমানে বিজেপি শাসিত অসম এবং ত্রিপুরা দিয়েই অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েন প্রচুর বাংলাদেশি। শাহ আরো বলেন, যেসব বাংলাদেশিরা ধরে পড়েছেন তাদের সবার কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড মিলেছে।
আরো পড়ুন : রাতারাতি নাম বদল উত্তরাখণ্ডের ১৫ টি জায়গার! কারণ সামনে আনলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। তাঁদের দাবি, গুজরাটে যেখানে বিএসএফ এর কাজের এলাকা ৮০ কিমি থেকে কমিয়ে ৫০ এ আনা হয়েছে, সেখানে বাংলায় ১৫ থেকে ৫০ কিমি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিএসএফ এর কাজের এলাকা। সীমান্তে বিএসএফ তাদের কাজে ব্যর্থ হচ্ছে। আর দায় চাইছে বাংলার উপরে, কটাক্ষ তৃণমূলের।