বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় বলে, যাকে অতিরিক্ত আদর দিয়ে মাথায় তোলা হয় তাকে টেনে নীচে নামাতেও বেশি সময় লাগে না। ঠিক তেমনটাই এখন ঘটছে গুনগুনের (gungun) সঙ্গে। মিষ্টি বৌদির সদ্যোজাত সন্তান পুচু সোনাকে নিয়ে যে বাড়াবাড়িটা সে শুরু করেছিল তাতে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিল মুখার্জি পরিবার সহ ‘খড়কুটো’ দর্শকেরাও। ক্রমাগত অপমান, অসম্মান সহ্য করতে করতে শেষমেষ শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল গুনগুন।
সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে সদ্য মা হয়েছেন মিষ্টি বৌদি। পরিবারের সকলের অনুপস্থিতিতেই সন্তানের জন্ম দেয় মিষ্টি বৌদি। সে সময় তার পাশে ছিল গুনগুন। এরপর থেকেই আর সদ্যোজাতকে নিজের কাছছাড়া করতে চাইছে না সে। অপরদিকে গুনগুনের এই আচরণে রেগেছেন মিষ্টি বৌদিও। আর তার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপেছেন দর্শকেরাও।
একজন সদ্যোজাতর জন্মের পর নিজের মাকে সবথেকে বেশি দরকার পড়ে। এমন সময় গুনগুন কেন তাঁকে মিষ্টি বৌদির থেকে দূরে করে দিচ্ছে? প্রশ্ন নেটনাগরিকদের। অথচ গুনগুনের কোনো হেলদোল নেই। সে কোনো কথাই শুনতে রাজি নয়। এমনকি সৌজন্য এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে হয়রান।
আর এবারে তো সমস্ত সীমাই পার করে দিয়েছে গুনগুন, দাবি নেটিজেনদের। পুচুসোনাকে নিয়ে মিষ্টি বৌদির সঙ্গে ঝগড়া করতে গিয়ে খুদেকে হাত থেকে মাটিতেই ফেলে দিয়েছে গুনগুন! মিষ্টি বৌদি সাফ জানিয়ে দিয়েছে গুনগুন তার সন্তানকে কাছে না দিলে দুধ খাওয়াবে না। এবার গুনগুন যেটা ভাল সেটা বুঝে নিক। ওদিকে গুনগুনও হার মানার পাত্রী নয়। তার দাবি, মিষ্টি বৌদি পুচুসোনাকে দুধ খাইয়ে দিলে ফের সে তাকে নিজের কাছে নিয়ে নেবে।
এই নিয়ে দুজনের বিবাদ, তর্কাতর্কি। ঠেলাঠেলি করতে গিয়ে পুচুসোনাকে হাত থেকে মাটিতেই ফেলে দেয় গুনগুন। ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে সদ্যোজাত শিশুটি। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুচুসোনাকে। এই ঘটনার পর থেকেই মুখার্জি পরিবার আরো বিরূপ হয়ে উঠেছে গুনগুনের প্রতি। একমাত্র পটকাই রয়েছে তার পাশে। মুখ ফিরিয়েছে বাবিনও।
https://www.instagram.com/p/CTWEq–hdDY/?utm_medium=copy_link
এরপরেই মেয়েকে নিয়ে মুখার্জি বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে যেতে চান গুনগুনের বাবা। তাঁর স্পষ্ট কথা, যে স্বামী স্ত্রীকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে পারে না তাকে তিনি স্বামী বলে মনে করেন না। গুনগুনও বলে, সে নিজের ইচ্ছায় বিয়েতে মত দেয়নি। তাই যার ইচ্ছায় দিয়েছিল তার ইচ্ছাতেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দর্শকদের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ গুনগুন তথা সিরিয়াল নির্মাতাদের উপর। চিত্রনাট্যের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। এসবের মাঝে পড়ে দিনের পর দিন কমছে সিরিয়ালের টিআরপি ও। এই পরিস্থিতি থেকে আর কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে খড়কুটোর? চিন্তায় রয়েছে অনুরাগীরা।