বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে ১৫ তম সিজনে পা দিয়ে দিল ‘বিগ বস’ (bigg boss)। হিন্দি রিয়েলিটি শোয়ের জগতে বিগ বস অন্যতম যা এত বছর ধরে চলে আসছে এবং এখনো সমান জনপ্রিয় রয়েছে। বরং বলা ভাল, যত দিন যাচ্ছে বিগ বসের জনপ্রিয়তা কিন্তু ততই বাড়ছে। আর এই জনপ্রিয়তার নেপথ্যে রয়েছে বিতর্ক। প্রতিটি সিজনে বিতর্কের মাত্রা যেন আরো একগুণ, দ্বিগুণ করে বৃদ্ধি পায়।
২০০৬ সাল থেকে চলছে বিগ বস। তবে প্রথম সিজনে সলমন খান নয়, বরং এই শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি। সে সময় বিগ বসের সম্প্রচার হত সোনি টিভিতে। তবে তার কিছুদিন পরেই চ্যানেল বদলে কালার্স টিভিতে সম্প্রচার শুরু হয় বিগ বসের। একই বাড়িতে প্রতিযোগীদের থাকতে হয় একসঙ্গে। রান্না থেকে শুরু করে বাসন মাজা, সব কাজই করতে হয় নিজেদের। একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারলে ভাল, নাহলেই শুরু ঝগড়া। আর এই ঝগড়া দেখিয়েই মূলত টিআরপি তোলে বিগ বস।
তবে শুধুই কি ঝগড়া? বিগ বসের প্রথম দিকের সিজন থেকেই প্রতিযোগীদের বহু কীর্তির সাক্ষী রয়েছেন দর্শকরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং সিজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ‘অশ্লীলতা’র মাত্রা। যেহেতু ঘরের মধ্যে প্রতিযোগীদের সব কাণ্ডকারখানাই ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং যেহেতু বিগ বস পারিবারিক শো তাই কোনো রকম অন্তরঙ্গতা বা অশ্লীল আচরণ করতে বারন করা হয় প্রতিযোগীদের।
তবে জানিয়ে রাখি, এই সতর্ক বার্তা শুধুই দর্শকদের দেখানোর জন্য। শোয়ের মধ্যে প্রতিযোগীদের ঘনিষ্ঠ হতে কোনো বাধাই নেই। তেমন প্রয়োজন পড়লে তারা চলে যেতে পারেন বাথরুমে। কারণ একমাত্র সেখানেই কোনো ক্যামেরা লাগানো নেই। এমনটা অনেককেই করতে দেখা গিয়েছে। অনেকে আবার ক্যামেরার সামনেই ঘনিষ্ঠ হয়েছেন।
সদ্য বিগ বস OTT তে ঘটেছিল এমনি ঘটনা। ভিডিওতে প্রতিযোগী উরফি জাভেদ বলেছিলেন, ‘এখানে যৌন সঙ্গম হয়েছে, এই বিগ বস OTTর ঘরে। জানি না সেটা আপনাদের দেখানো হয়েছে কিনা কিন্তু এটা হয়েছে।’ দর্শকদের নজর বাঁচাতে এমন অনেক গোপনীয়তার আশ্রয়ই নিতে হয় বিগ বস কর্তৃপক্ষকে। যেমন, বর্তমানে বিগ বসের ঘরের মধ্যে রয়েছে ধূমপান করার একটি আলাদা জায়গা।
প্রতীযোগীরা মদ্যপান করতে চান? তারও ব্যবস্থা রয়েছে। তবে যেহেতু ক্যামেরার পানীয়ের বোতল আনা সম্ভব নয় এবং মদ্যপানের জন্য আলাদা কোনো জায়গা নেই, শোনা যায় তাই ফলের রসের মধ্যেই মদ মিশিয়ে দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। বিগ বসের ঘরে প্রতিটি ক্যামেরার মধ্যে লুকানো রয়েছে ক্যামেরা। সেই সব ক্যামেরার চোখে ফাঁকি দিয়েই চলে এমন কাণ্ড।
তবে কষ্ট, অসুবিধা সহ্য করে এতদিন কাটিয়ে মোটা পারিশ্রমিকও কিন্তু প্রতিযোগীরা। অনেকে প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে টাকা পান। আবার অনেকে একেবারে শোয়ের শেষে সমস্ত পারিশ্রমিকটা পান। যেমন রেশমি দেশাই প্রতি সপ্তাহের শেষে ১৫ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। আবার রিমি সেন শোয়ের শেষে পেয়েছিলেন ২ কোটি টাকা। কেউ যদি মাঝপথে শো ছেড়েও দিতে চান তাহলেও তাঁকে নিজের পকেট থেকে দিতে হবে ২ কোটি টাকা।