বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোমবার বিহারের (Bihar) মতিহারিতে নাগপঞ্চমী উপলক্ষে মহাবীর যাত্রা চলাকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎই সংঘর্ষ শুরু হয়। জানা গেছে বাগাহা মিছিলের দিকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ঘটনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ও পাথরবৃষ্টিও চলে পুরোদমে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছলে তাঁদেরকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হয়। পুলিস সহ ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এলাকাকে শান্ত করতে ইতিমধ্যে ওই এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
आज दिनांक 21.8.23 को बगहा शहरी क्षेत्र में महावीरी जुलूस में दो समुदायों के बीच झड़प हुआ था। इस झड़प में ना ही किसी मस्जिद पर हमला हुआ है और ना किसी समुदाय विशेष पर हमला किया गया है ।बगहा पुलिस आप सभी से अपील करतीं हैं कि आप सभी अफ़वाहों पर ध्यान नहीं दे । @bihar_police
— Bagaha Police (@p_bagaha) August 21, 2023
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিছিল তার নির্দিষ্ট পথ ধরে এগোচ্ছিল। একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রতনমেলার আশেপাশের মুসলমানরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করে। তাঁরা জানান, মহাবীর পতাকা ওই এলাকা দিয়ে যেতে পারবে না। এতে হিন্দুরা মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এর পরপরই ছাদ ও রাস্তার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিলের উপর তুমুল পাথর বর্ষণ শুরু হয়ে যায়।
বাগাহা পুলিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটারে ২১ আগস্ট ঘটনার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। পুলিস জানায় এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক। প্রশাসনের আরও দাবি এই সংঘর্ষে কোনো মসজিদ বা বিশেষ সম্প্রদায়ের কোনো সদস্যের ওপর হামলা হয়নি। পোস্টটিতে লেখা হয়, ‘বাঘা পুলিস আপনাদের সকলের কাছে আবেদন করছে যে সকল গুজবে কান দেবেন না।
আরও পড়ুন : বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে পাক সেনাকে গুঁড়িয়ে গিল ভারত? তথ্য জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
সংবাদমাধ্যম বিহারের বাঘা থেকে এক বজরং দলের কর্মীর সঙ্গে করা হয়। নাম প্রকাশ না করতে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন হিন্দু সংগঠনের মিছিলটি বাঘা জেলার রতনমেলা এলাকার মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ই আক্রমণ করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় কারোর প্রাণহানি হয়নি বলেই মনে করেন ওই ব্যক্তি।