মোবাইলের আলোয় বিয়ে, গোটা গ্রাম বরযাত্রী! প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে যেভাবে ফাঁসলেন যুবক

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতে নানা সময় এমন বিচিত্র ঘটনা ঘটে যা ভাবলেই অবাক লাগে। বিশ্বাস করা তো অনেক দূরের ব্যাপার। কিন্তু এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বিহারের (Bihar) জামুইতে। এক যুগলকে রাতের অন্ধকারে মোবাইলের আলোয় বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই বিয়েতে আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিল গোটা গ্রাম। স্থানীয় মন্দিরে জড়ো হয়ে মোবাইলের আলোয় যুগলের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর থানার অন্তর্গত কাঁকনচোর গ্রামে। জানা গিয়েছে, নববিবাহিত ওই দম্পতির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই গ্রামের মানুষ স্থানীয় পটেশ্বর নাথ মন্দির চত্বরে তাঁদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এই বিচিত্র ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক দম্পতিকে একটি মন্দিরে রাতের অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

marriage

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক রাতের অন্ধকারে গ্রামে গিয়েছিলেন নিজের প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তাঁদের হাতে-নাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এরপরেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের স্থানীয় মন্দিরে। তারপর সেখানে দু’জনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই যুবক লক্ষ্মীপুর থানা এলাকার ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। অন্যদিকে, তাঁর প্রেমিকা (বর্তমানে স্ত্রী) পূজা কুমারী কাররা গ্রামের বাসিন্দা। কাঁকনচোরে নিজের মামার বাড়িতে এসেছিলেন।

সেখানেই পূজার সঙ্গে দেখা করতে যান রঞ্জন নামের ওই যুবক। রাতের অন্ধকারে পূজার মামার বাড়ি চলে যান রঞ্জন। রাতে নিভৃতে কথা বলছিলেন দু’জনে। সেই অবস্থায় তাঁদের ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এরপর থেকেই নানা রকম ঘটনা ঘটে শুরু করে ওই যুগলের সঙ্গে। কেউ কেউ বলতে থাকেন, তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আবার গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের কথাই মেনে নেওয়া হয়। 

গ্রামবাসীদের সম্মতি নিয়ে রঞ্জন ও পূজার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামের স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানেই মোবাইলের আলোয় চার হাত এক করে দেওয়া হয় যুগলের। জানা গিয়েছে, রঞ্জন ও পূজার মধ্যে বিগত কয়েক মাস ধরেই প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাত ১২টায় তাঁদের একসঙ্গে দেখেন কয়েকজন গ্রামবাসী। তারপর তাঁরা বাকিদের সতর্ক করে দেন এবং ডেকে আনেন। এর মধ্যে পালানোর চেষ্টা করে রঞ্জন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। এরপর প্রায় রাত ৩টের সময় দু’জনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। 


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর