বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাল বিহার সরকার (bihar government)। সম্প্রতি সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চট্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক দফায় অভিযোগ এনে পাটনা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন অভিনেতার বাবা কে কে সিং। সেই সূত্রে অবিলম্বে তদন্তের জন্য মুম্বই রওনা দেয় বিহার পুলিস। এবার জানা গিয়েছে সুশান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিহার সরকার।
সম্প্রতি এই মামলায় তদন্তের জন্য মুম্বই পৌঁছান পাটনা পুলিসের এসপি বিনয় তিওয়ারি। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তদন্ত করা তো দূর, উপরন্তু বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন জোর করে তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করে বলে অভিযোগ। আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে কোয়ারেন্টাইনেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিএমসি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মুম্বই পুলিসের উদ্দেশে তোপ দাগেন বিহার ডিজিপি জি পান্ডে। তাঁর কথায়, “একজন আইপিএস অফিসারকে জোর করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের যদি নিজের পুলিসের প্রতি এতই গর্ব থাকে তাহলে আমাদের জানানো হোক গত ৫০ দিন ধরে সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় কি কি তদন্ত হয়েছে। মুম্বই পুলিস আমাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এর স্পষ্ট মানে কোথাও একটা গড়বড় আছে।”
Basically, Mumbai Police is buying time to ensure that the evidence gets destroyed. So we decided that this matter should be given to CBI and Nitish Kumar had earlier promised that if the father wants a CBI probe, it will be handed it over to CBI: Vikas Singh https://t.co/S5ZxFaf0gT
— ANI (@ANI) August 4, 2020
প্রসঙ্গত, সোমবার সুশান্ত মামলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুম্বই পুলিস কমিশনার পরমবীর সিং। তদন্তের বিষয়ে অনেক তথ্যই এদিন মিডিয়ার সামনে আনেন মুম্বই পুলিস কমিশনার। তবে তিনি জানান যে তারা এখনও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছননি যে এই মামলা বিহার থেকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হবে কিনা। বিহার পুলিসের এখনই এই মামলায় তদন্ত করার অধিকার নেই বলে জানান তিনি।
১৪ জুন নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করার আগে প্রায় দু ঘন্টা ধরে নিজের নাম ও নিজের সম্পর্কে গুগলে সার্চ করেন সুশান্ত। এছাড়াও বাইপোলার, বিনা যন্ত্রণায় মৃত্যু এধরনের বিষয়ও গুগলে সার্চ করেন তিনি।
দু বার রিয়া চক্রবর্তীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর থেকে জানা যায়, রিয়া ও সুশান্তের সম্পর্কে তিক্ততা দেখা গিয়েছিল। বয়ানে সুশান্তের সঙ্গে আলাপ হওয়া, তিনি কেমন মানুষ ছিলেন সেসব বলেন রিয়া। সুশান্তের সঙ্গে ইউরোপ টুর এর কথাও জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। এছাড়া রিয়া জানান, সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না।
৮ জুন রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তকে একা রেখে চলে যান কারন তিনিও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারপর অভিনেতার দিদি আসেন তাঁর সঙ্গে থাকতে। তিনিও ১৩ জুন চলে যান মেয়ের পরীক্ষার জন্য।
সুশান্তের ডায়রি থেকে অনেক কিছুই জানা গিয়েছে। ডায়রিতে নিজের খরচ লিখে রাখতেন তিনি। CA কে তিনি বলে রেখেছিলেন মাসের খরচ কমাতে। ২০১৯ এর জানুয়ারি থেকে ২০২০র জুন পর্যন্ত অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস খতিয়ে দেখা হয়েছে। ব্যাঙ্কে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ছিল তাঁর।