বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিহারের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister Of Bihar) চন্দ্রশেখরের (Chandrasekhar) রামচরিত মানসের (Ramcharitmanas) উপর করা বিতর্কের জল গড়াল অনেক দূর। এবার নীতিশের দল জেডিইউ-এর বিধায়ক সঞ্জীব সিং সরব হলেন এই প্রসঙ্গে। তিনি বলেন শিক্ষামন্ত্রীর উচিত যত শীঘ্র সম্ভব মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। শুধু তাই নয়, নীতিশ ঘনিষ্ঠ এই বিধায়ক চন্দ্রশেখরকে হিন্দু ত্যাগের পরামর্শও দেন এদিন।
ভাগলপুরের একটি সভা থেকে সঞ্জীব সিং বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর মানসিক স্থিতি ঠিক নেই। ভুলভাল বকছেন উনি। রামচরিতমানস সম্পর্কে কেন এমন মন্তব্য করলেন জানি না। উনি অন্য যে কোনও ধর্মের গ্রন্থ সম্পর্কে এই বললে ছাড় পেতেন না। তাঁর বাড়ি থেকে বেরোনোই বন্ধ হয়ে যেত। তাঁর উচিৎ মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তবে অন্য ধর্ম সম্পর্কে এই কথা বললে তিনি ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পেতেন না।’
জেডিইউ দলের নীতিশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই বিধায়ক আরও বলেন, ‘যদি রামচরিতমানস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এতই সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে তিনি অনায়াসে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করতে পারেন। মন্ত্রী ‘চিরকূট’ কাজ করছেন। আসলে ওঁর হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান বড়ই কম। এর উপর তাঁর মানসিক বিকৃতিও ঘটেছে। শীঘ্রই চিকিৎসা না করলে তিনি এই রকম আরও ভুলভাল বকতে পারেন।’
কী এমন বলেছিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর? নীতীশ সরকারের এই মন্ত্রী গত বুধবার দাবি করেন, রামচরিতমানসের মতো বইগুলি মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ায়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘মনুস্মৃতি’ এবং গোলওয়ালকরের ‘বাঞ্চ অফ থটস’ বইগুলি সামাজিক বিভাজন তৈরি করে। তাঁর এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। নিজের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি খাড়া করতে চন্দ্রশেখর রামচরিতমানসের দুটি লাইনের উল্লেখ করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা ও মমতায় একটি জাতি মহান হয়ে ওঠে। রামচরিতমানস, মনুস্মৃতি এবং বাঞ্চ অফ থটসের মতো বইগুলি ঘৃণা ও সামাজিক বিভাজনের বীজ বপন করে। এই কারণেই মানুষ মনুস্মৃতি পোড়ায় এবং রামচরিতমানসের একটি অংশকে এড়িয়ে চলে। এই অংশটি দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ এবং মহিলাদের শিক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলে।’