বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেক কোম্পানিই আছে যারা নিজেদের ব্যবসাবৃদ্ধির জন্য পণ্য বিক্রি করার জন্য অনেক সময় বিনামূল্যে কিছু উপহার বা অতিরিক্ত পরিমাণ দ্রব্য গ্রাহকদের দিয়ে থাকেন করে থাকে । কিন্তু এমনটা শুনেছেন কি পরীক্ষায় মোট নম্বর যত তার থেকেও বেশি পরিমাণ নম্বর নিয়ে কোন ছাত্র বা ছাত্রী সেই পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে?আপনি ভাবছেন এমনটা কি করে সম্ভব? ঠিক এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী রইল বিহার।
জানা গিয়েছে,রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক ছাত্র পরীক্ষার মার্কসসিট হাতে পাওয়ার পর দেখলেন তিনি ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় লাভ করেছেন ১৫১ নম্বর! এই ঘটনা সামনে আসতেই ছাত্র তো বটেই তার সাথে তাজ্জব বনে যান আরো অনেকে।
কিছু মাস আগে হয়েছিল স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার মোট নম্বর ছিল ১০০। রেজাল্ট বের হওয়ার পর দেখা গেল এক ছাত্র পেয়েছেন ১৫১ নম্বর! মার্কশিট হাতে পেয়ে চক্ষু চরক গাছ হয় ঐ পড়ুয়ার। তার আশা ছিল পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাস করে যাবেন তিনি, কিন্তু মোট নম্বরে থেকে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বেশি নম্বর কিভাবে পেলেন তা ভাবতেই তার মনে ধাঁধা লেগে যায়। কোন ছাত্র যে পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ১৫১ পেতে পারে তা তার ধারণাই ছিল না।।
এই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে বিহারে।দ্বারভাঙা জেলার ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের এক ছাত্র ১০০ নম্বরের মধ্যে ১৫১ নম্বর পেতে শুরু হয়ে যায় হইচই। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে বিহার বোর্ড পরিচালিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল প্রকাশ হয়। ফল প্রকাশের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি জানতে পেরে বলেন এটি সম্পূর্ণভাবে ছাপার ভুল হয়েছে। শীঘ্রই এই ভুল সংশোধন করে দেওয়া হবে।
ওই ছাত্রটি জানিয়েছেন,”রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর আমিতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এটা প্রভিশনাল মার্কশিট হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ভালো করে যাচাই করে নেওয়া। তাহলে এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হত না।” শুধু ওই ছাত্র একা নন, এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন আরো অনেকে। বাণিজ্য বিভাগের এক ছাত্রকে ১০০ এ ০ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে।
ঘটনা দুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুস্তাক আহমেদ বলেন, “ছাত্ররা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালে আমরা খতিয়ে দেখেছি। এটা সম্পূর্ণভাবে ছাপার ভুল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি সংশোধন করে তাদের নতুন মার্কশিট দেওয়া হয়েছে।”