বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC ইস্যুতে (SSC Scam) এখনও খোলেনি জট। এরই মধ্যে চাকরিহারা সকল শিক্ষাকর্মীদের মাসে-মাসে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata banerjee)। গ্রুপ সি চাকরিহারাদের মাসিক ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে জানিয়েছেন মমতা।
মমতার পালটা আসরে বিকাশবাবু | Bikash Ranjan Bhattacharya
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এসএসসসি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের মাসে মাসে ভাতা দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই পদক্ষেপ কী একপ্রকার আদালতকে চ্যালেঞ্জ করা? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan)।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, সরকারের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে একপ্রকার আদালত অবমাননাই। এটা আদালতেররায়কে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, “রাজ্য যে রিভিউ পিটিশন করবে তার কোনও গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি না। সরকারের পয়সায় যে কেউ রিভিউ ফাইল করতে পরেন।’
তিনি বলেন, ‘মমতা যদি বলেন সরকারের তরফে ভাতা দেওয়া হচ্ছে তাহলে রাজ্যের যত জায়গায় যত কর্মী ছাঁটাই হয়েছে, সকলকে ভাতা দিন। আমার কোনও আপত্তি নেই। বাংলায় তো প্রায়ই এরকম ছাঁটাই হতেই থাকে। সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের উঁনি ছাঁটাই করছেন, তাহলে তাঁদেরও ভাতা দিন।” বাম আমলে যেমন ‘বেকার ভাতা’ চালু করা হয়েছিল, তেমনই মমতার সরকারও বেকারদের জন্য ‘ব্যবস্থা তেমন ব্যবস্থা করুক।
ভিডিও দেখুন:https://youtu.be/yQEg3zYeV1M?si=SFZddhIIRGuLu8rt
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির জেরে SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে বাতিল হয়েছে ওই সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্যানেল। চাকরি হারিয়েছেন মোট ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। পরে পড়ুয়াদের শিক্ষাদানের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের আর্জিতে নতুন করে প্যানেল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত চাকরিহারা যোগ্য বা দাগি নন এমন শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টি রবিতে, ব্যাপক শিলাবৃষ্টিও দক্ষিণবঙ্গে! টানা তিনদিন থাকবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া
কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে কোনো স্বস্তির খবর আসেনি। আদালত তাদের আপাতত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এই নিয়েই তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছিল। কিভাবে পরিবার চালাবেন সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছিল। সেই চাকরিহারা কর্মীদের সাময়িক স্বস্তি দিতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে “বিপাকে’ রাজ্য সরকারের।