DA-র টাকা অপ্রয়োজনীয় খাতে! ‘দেউলিয়া হয়ে যাবে রাজ্য’, আসরে বিকাশরঞ্জন

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। জুন মাস শেষ হওয়ার মধ্যেই বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নবান্নকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। দ্য ওয়াল এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাজ্য প্রশাসন বকেয়া ডিএ আদৌ মেটাতে পারবে কিনা সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে এই ডিএ সরকারী কর্মচারীদের ন্যায্য এবং আইনত অধিকার।

ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিকাশরঞ্জন (Bikash Ranjan Bhattacharya)

বিকাশরঞ্জন (Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, বকেয়া ডিএ যে মেটাতে হবে তা রাজ্য সরকার জানত। এই খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে তাও তারা জানত, সম্ভবত রেখেওছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় খাতের টাকা অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ করেছে। কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ভেবেছিল, ডিএ-র মতো প্রয়োজনীয় খাতকে উপেক্ষা করলে সরকারি কর্মচারীরা চুপ করে থাকবেন। আর সেই সুযোগে সরকারও নতুন কোনো তত্ত্ব খাড়া করবে। তথাকথিত নামী ব্যক্তিদের দিয়ে তেমনটা করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা।

Bikash ranjan bhattacharya took a dig at state government on da issue

একমাসে তিন বার ঋণ নিচ্ছে সরকার: বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) কথায়, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রায় ৬-৭ বার আদালত-ট্রাইবুনাল হয়েছে। শেষমেষ শীর্ষ আদালতে গেলে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশ রাজ্য সরকার মানবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজকোষের ঘাটতি সামলাতে তিনটি ধাপে ঋণ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ শে জুন এসজিবি নিলামে অংশ নেবে রাজ্য। আরো ৩৫০০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ২৫ বছরের মেয়াদি হিসেবে ২০০০ কোটি টাকা এবং ১৫০০ কোটি টাকা নেওয়া হবে ২৬ বছরের মেয়াদি হিসেবে।

আরো পড়ুন : বক্স অফিস ধরতে মরিয়া, বাঙালি দর্শকের নজর কাড়তে এই প্রথম বার বাংলা চ্যানেলে আমির!

রাজস্ব আদায়ের পথ বন্ধ: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনেকের ধারণা, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্যই এই ঋণ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে বিকাশরঞ্জন (Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, রাজস্ব আদায়ের জন্য একমাত্র মদ বিক্রির টাকাই উপলব্ধ রয়েছে রাজ্য সরকারের। একটি রাজ্য কোনও উৎপাদনমুখী কর্মসূচি না করলে রেভিনিউ আসবে না। এমনকি রিয়েল এস্টেট প্রপার্টির মালিকদের কাছে জমিজমা বিক্রি করে টাকা আসলেও তার মধ্যে আবার তৃণমূলের কাটমানি রয়েছে বলে কটাক্ষ করেন সিপিএম নেতা।

আরো পড়ুন : আর ফাঁকা আওয়াজ নয়, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে সরাসরি এন্ট্রি ট্রাম্পের, ইরানের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা আমেরিকার

ব্যক্তিগত এবং দলীয় প্রচার করতেই অসাংবিধানিক খরচ বেশি করে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় খাতে যতটুকু খরচ করার কথা তার থেকে অসাংবিধানিক খরচ বেশি হওয়ায় দেউলিয়া হতে বসেছে রাজ্য সরকার, পর্যবেক্ষণ বিকাশরঞ্জনের।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।