সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতাল যাওয়ার পথে বাইক ও অ্যাম্বুলেন্সে’র মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত বাবা ও ছেলে। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের লায়েকবাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বাইকে চেপে আজ সকালে শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীর বাসিন্দা শেখ লতিফ তার ছেলে শেখ জাকির কে সঙ্গে করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসা করাতে। তারা লায়েকবাজার মোড়ে আসতেই অপরদিক থেকে বেপরোয়া ভাবে ছুটে আসা একটি ফাঁকা অ্যাম্বুলেন্সে’র সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শেখ লতিফ ও তার ছেলে শেখ জাকিরের।
বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে লায়েকবাজার থেকে সিয়ান রোডে কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্বাভাবিক হয় যানচলাচল। তবে ঘাতক অ্যাম্বুলেন্স চালক পলাতক। এই ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ,“ওই অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারটি মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া ভাবে গাড়িটিকে চালিয়ে নিয়ে আসছিল। এমনকি গাড়িতে কোন রুগি ছিল না। আমাদের এখানে এইরকম পথ দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। তবে এইখানে একটা ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করলে খুব ভালো হয়। দুর্ঘটনা অনেকটা কমে।”
প্রসঙ্গত,বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় কঠোরভাবে নিরাপত্তা নিয়মের বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে বলেছিলেন। তিনি জেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কাহীন চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এবং ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচারকে বাস্তবায়িত করার প্রতি জোর দিতে বলেন।এদিন মঞ্চ থেকে দিনে-রাতে ঘটা দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরেও প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীরা সহাস্যে বোলপুরের রাস্তায় দাপিয়ে বেরাচ্ছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স,লরি,বাস ইত্যাদি। এই পুরো ঘটনাটি ঘটছে পুলিশি নজরদারির অভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই দিব্যি বেপরোয়াভাবে গাড়িগুলি ছুটে চলেছে । হেলমেট বিহীন অবস্থায় বাইকে তিনজনকে হামেশাই দেখা যাচ্ছে বোলপুর সহ বিভিন্ন জেলায়।