বিলকিসের পাশে দাঁড়ালেন মহুয়া, ধর্ষকদের মুক্তির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল সাংসদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সূত্র ধরে এ বছর বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষকদের মুক্তি দেয় গুজরাট (Gujrat) সরকার। বর্তমানে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে একাধিক মহল আর এবার তাদের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

গত ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে সাজা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় বিলকিস বানো কাণ্ডের এক অপরাধী। পরবর্তীতে তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি গুজরাট সরকারের ওপরেই ছেড়ে দেয় আদালত। এরপর এই কাণ্ডে মোট ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেয় সরকার। বর্তমানে তাদের এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিভিন্ন স্তরের মানুষ এর বিরুদ্ধাচারণ করেছে।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে হতবাক বিলকিস-ও। তিনি বলেন, “কুড়ি বছর আগে যে আতঙ্ক আমাকে তাড়া করেছিল,এ বছর ১৫ ই আগস্ট তা যেন পুনরায় একবার আমাকে গ্রাস করল। আমি শুনলাম, কুড়ি বছর আগের ওই কাণ্ডে অপরাধী ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমি আমার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।”

Untitled design 2022 08 10T165217.077

কি এই বিলকিস বানো কাণ্ড? ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গা চলাকালীন দাহোড় জেলায় দেবগড় বাড়িয়া গ্রামে বীভৎস হামলা চালায় কিছু মানুষ। পরবর্তীতে বিলকিস বানো সহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গণধর্ষণ করে তারা। সেই সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন বিলকিস। অথচ তা সত্ত্বেও তার উপর নির্যাতন করার পাশাপাশি পরিবারের বহু সদস্যকে হত্যা করে অপরাধীরা ল। সেই তালিকায় ছিল বিলকিসের তিন বছরের কন্যাও! পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। তবে এর মাঝেই এ বছর তাদের সকলকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। বর্তমানে মহুয়া মৈত্রের মামলাটি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয়, সেটাই দেখার।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর