বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি হোক বা বেসরকারি, বর্তমানে একাধিক অফিসে বায়োমেট্রিক হাজিরা (Biometric Attendance) চালু হয়েছে। খাতা-কলমের ব্যবহার এখন প্রায় অতীত। তবে এবার এই নয়া পদ্ধতি চালু হতেই চটেছেন একটি দফতরের কর্মীরা। শুক্রবার কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
বায়োমেট্রিক হাজিরা (Biometric Attendance) চালু হওয়ার রুষ্ট কোন দফতরের কর্মীরা?
ঠিকঠাক সময়ে কর্মীদের অফিসে ঢোকা, সময়ের আগে না বেরনো থেকে ফাঁকিবাজি আটকানো সহ নানান বিষয় সুনিশ্চিত করতে বহু অফিসে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এবার সেই পথেই হেঁটেছে কৃষ্ণনগর পুরসভা (Krishnanagar Municipality)। সম্প্রতি কনজারভেন্সি দফতরে এই নয়া হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। আর তাতেই চটেছেন কর্মীরা।
জানা যাচ্ছে, এর বিরুদ্ধে গতকাল দুপুরে কৃষ্ণনগর পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ (Protest) দেখান কনজারভেন্সি দফতরের সাফাইকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধুমাত্র তাঁদের ক্ষেত্রেই এই নয়া হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। অন্যান্য দফতরের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করতে হলে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হোক, দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর কাণ্ডের ছায়া সাগর দত্তে! ইঞ্জেকশন দিতেই প্রসূতির মৃত্যু, অসুস্থ আরও ১০
গতকাল দুপুরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতৃত্বে দলীয় পতাকা হাতে কৃষ্ণনগর পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখান কনজারভেন্সি দফতরের সাফাইকর্মীরা। শহরের সকল ওয়ার্ডের কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারপার্সন রিতা দাস।
চেয়ারপার্সনের কথায়, কৃষ্ণনগর পুরসভায় সাফাইকর্মীর সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেই কারণে প্রথম ধাপে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে তাঁদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে তা অন্যান্য দফতরেও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাফাইয়ের কাজে শৃঙ্খলা আনার জন্যই পুরসভার তরফ থেকে এই পদক্ষেপ বলে খবর।
অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজকিশোর দাস নামের এক প্রতিবাদকারী বলেন, সবার জন্যই এই বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি (Biometric Attendance) চালু করা হোক আমরা চাই। তবে কেবলমাত্র সাফাইকর্মীদের জন্যই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। সেই জন্য আমরা এই আন্দোলন করছি।