বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের দুই মহারথী বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee) এবং সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty)। একজন খ্যাতনামা খলনায়ক, অন্যজনকে আবার ‘ফেলুদা’ বলেই বেশি চেনেন সিনেপ্রেমীরা। দুজনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য। সবথেকে বড় মিল, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় নিজেও ফেলুদার ছবিতে কাজ করেছেন। তাও আবার স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায়। তবে সে ছবিতে ফেলুদা ছিলেন কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সব্যসাচীর সঙ্গেও অভিনয় করেছেন তিনি।
সব্যসাচী এবং বিপ্লব দুজনেই ইন্ডাস্ট্রিরই সদস্য। সেদিক থেকে তাঁদের মধ্যে কোনো বিবাদের অবকাশ থাকার কথা নয়। তবুও সবাইকে চমকে দিয়েই প্রাক্তন ফেলুদাকে নজিরবিহীন কটাক্ষ করে বসলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ‘হিপোক্রিট’ বলেও ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রবীণ অভিনেতা।
এত রাগের কারণ কী? সম্প্রতি সিটি সিনেমার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনয় এবং রাজনৈতিক জগৎ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দেখা যায় বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে। কথায় কথায় ওঠে সব্যসাচীর প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগে খবর ছড়িয়েছিল, তিনি নাকি অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন। যদিও পরে অভিনেতা দাবি করেন, ওই স্টেটমেন্টটা এক রকম জোর করেই নেওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে।
বিষয়টা উত্থাপন করতেই রেগে যান বিপ্লব। স্পষ্টতই বিরক্তি সহকারে বলে ওঠেন, ‘আমার বলতে খুব অস্বস্তি হচ্ছে, কিন্তু ওর মতো হিপোক্রিট আর একটাও দেখিনি’। এরপরেই দুটি ঘটনার কথা জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, দু বারেই সব্যসাচী প্রথমে তাঁর পক্ষ নিয়েই কথা বলেছিলেন। কিন্তু আসল সময়ে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শ্লেষের সুরে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এসব লোককে আমার চেনা হয়ে গিয়েছে। বলে না, ওকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি, সেরম আরকি। এ যে কী মাল এক একটা! বললে খারাপ লাগবে, কিন্তু বোঝা হয়ে গিয়েছে আমার। যন্তর জিনিস একটা!’ প্রবীণ খলনায়ক বলেন, তাঁর মা বাবার শিক্ষা আছে, তিনি কাউকে বঞ্চিত করেননি। তবে স্পষ্ট কথা বলেন বলে তিনি অনেকের কাছে অপ্রিয়।