বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজো শেষ। আপামর বাঙালির চোখ ছলছল। মা দুগ্গা বাপের বাড়ি ছেড়ে আবার কৈলাশে ফিরে যাচ্ছেন। এক বছর অপেক্ষায় আবারো দিন গোণা শুরু। কিন্তু অভিনেত্রী বিপাশা বাসুর (Bipasha Basu) মনে এখনো আনন্দের রেশ লেগে রয়েছে। কারণ জীবনের সবথেকে বড় খুশির খবরটা খুব শীঘ্রই পেতে চলেছেন তিনি।
মা হতে চলেছেন বিপাশা। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর পরিবারটা সম্পূর্ণ হতে চলেছে তাঁর। আনন্দে ভাসছেন বিপাশা। এ বছর দূর্গাপুজোটাও স্বাভাবিক ভাবে খুব স্পেশ্যাল তাঁর কাছে। প্রত্যেক বাঙালির কাছেই দূর্গাপুজো বছরের সবথেকে বড় উৎসব। মুম্বইয়ে কর্মক্ষেত্র, অবাঙালি বাড়ির বউ হলেও মনেপ্রাণে এখনো বাঙালি রয়ে গিয়েছেন বিপাশা।
প্রতি বছরই ধুমধাম করে পুজো উদযাপন করেন অভিনেত্রী। কিন্তু এবারে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে প্যান্ডেল হপিংয়ে যেতে পারেননি তিনি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিপাশা জানান, মা দূর্গার আশীর্বাদেই মা হতে চলেছেন তিনি। সবটাই হয়েছে মা দূর্গার ইচ্ছায়।
বিপাশা বলেন, “এ বছর আমরা মা দূর্গার আশীর্বাদ পেয়েছি, খুব শীঘ্রই আমাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে চলেছে মায়ের আশীর্বাদে। একটা ছোট্ট গল্প আছে যা আমি কখনোই শেয়ার করিনি। গত বছর আমরা মা বৈষ্ণো দেবীর দর্শন করি। আমি বা করন কেউই আগে ওখানে যাইনি। আমরা সন্তান চেয়েছিলাম মায়ের কাছে। আর এই বছরেই আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। আমার প্রথম আলট্রাসাউন্ডের তারিখটা আমাদের বৈষ্ণো দেবী দর্শনের তারিখের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। আমাদের দুজনেরই বিশ্বাস, মা দূর্গাই আমাদের জীবনের অংশ হতে চলেছেন।”
গত ১৬ অগাস্ট প্রেগনেন্সি ফটোশুট করে সুখবর শেয়ার করেন বিপাশা করন। অন্তঃসত্ত্বাকালীন ফটোশুটের থেকে দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন বিপাশা। একটি বড় সাদা শার্ট পরে ছিলেন অভিনেত্রী। শার্টের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল স্ফীত বেবি বাম্প। সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরে পাশে দাঁড়িয়ে করন। এক হাত দিয়ে স্ত্রীর বেবি বাম্প ছুঁয়ে তিনি। দ্বিতীয় ছবিটিতে বেবি বাম্পে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ক্যাপশনে বিপাশা লিখেছিলেন, ‘নতুন সময়, নতুন আলো জুড়তে চলেছে জীবনের রামধনুতে। আমাদের আরো পরিপূর্ণ করে তুলতে চলেছে। আমরা আলাদা আলাদা ভাবে জীবন শুরু করেছিলাম। তারপর একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হল। আমরা এক হলাম। মাত্র দুজনের জন্য এত ভালবাসা একটু অন্যায্য মনে হচ্ছিল। খুব শীঘ্রই আমরা দুই থেকে তিন হব।
আমাদের ভালবাসার ফসল, আমাদের সন্তান খুব শীঘ্রই আমাদের আনন্দে যোগ দেবে। আপনাদের নিঃশর্ত ভালবাসা, প্রার্থনা আর শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চিরদিন আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমাদের জীবনের সঙ্গে জুড়ে থেকে আরো একটা জীবন শুরুর সাক্ষী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সন্তান দূর্গা দূর্গা।’