বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে গিয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মণ্ডল। রানাঘাটের রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে মুম্বইয়ের ঝাঁ চকচকে লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে যান তিনি। বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সুরে গান গান। নানা রিয়েলিটি শোতেও ডাক পান রানু।
এবার খোঁজ মিলল আরেক লতাকণ্ঠীর। এমন সুরেলা গলা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (viral) হবে তা বলাই বাহুল্য। চাকদহের বাসিন্দা বিপাশা দাস (bipasha das)। স্বামী সন্তানদের নিয়ে থাকেন টিনের চালের ঘরে। চায়ের দোকান দিয়েই হয় রোজগার। খোল বাদক স্বামী মাঝে মধ্যে বরাত পান। কিন্তু সংসারে সুখের অভাব নেই। কারন দুজনেরই নেশা গান বাজনা।
https://www.facebook.com/101207734889116/videos/1191137334562244/
ছোট থেকেই অসাধারন গানের গলা হলেও কোনওদিন তালিম নেওয়ার সুযোগ পাননি বিপাশা। অভাবের সংসারে মেয়েকে গান শেখানোর ক্ষমতা ছিল না বাবার। শুনে শুনেই সব গান শেখা বিপাশার। গানের টান থেকেই চার হাত এক হয় খোল বাদক স্বামীর সঙ্গে। এখন সংসারে কাজের ফাঁকে গান বাজনা নিয়েই আছেন দুজন।
https://www.facebook.com/101207734889116/videos/616785925890763/
বিপাশার গানের ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। একের পর এক লতার জনপ্রিয় হিন্দি গান গেয়ে মুগ্ধ করেছেন তিনি নেটিজেনদের। তাঁর গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে নেটজনতা। রানু মণ্ডলের মতো বিপাশা দাসও প্রতিভার যোগ্য মর্যাদা পান, এটাই কাম্য সকলের।
https://www.facebook.com/101207734889116/videos/544853843129322/
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই নানান ভিডিও ভাইরাল হয়। বহু নিত্যনতুন প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় নেটদুনিয়া থেকে। নেটিজেনদের হতবাক করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাদের সকলেরই। কিন্তু কেউ কেউ প্রতিভার যোগ্য সম্মান পায় আবার কেউ কেউ অন্ধকারেই থেকে যায়।