বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে তিনদিন কেটে গেল অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek Chatterjee) মৃত্যুর পর বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই শেষবারের মতো চোখ বোজেন অভিনেতা। তাঁর এমন আচমকা মৃত্যুতে শোক বিহ্বল তাঁর সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা। শোক প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই জানিয়েছেন, খুব অভিমানী ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাই টলিউডে কাজ কেড়ে নেওয়ার পর আর ওমুখো হননি তিনি।
হ্যাঁ, বহু কাজ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল অভিষেকের। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন এমনটা। আঙুল তুলেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর দিকে। অন্যদিকে অভিনেত্রী বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। অভিষেক মনে অভিমান পুষে রেখেই চলে গেল। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রসেনজিৎও।
এবার প্রয়াত অভিনেতার হয়ে মুখ খুললেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ও (Biplab Chatterjee)। অভিষেকের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন সে সময়কার জনপ্রিয় খলনায়ক। তিনিও জানান, হই হুল্লোড় করতে ভালবাসতেন অভিষেক। আউটডোর শুট থাকলেও মজা করে কাজ করতেন।
কিন্তু বড়পর্দা থেকে সরে আঘাত রয়ে গিয়েছিল তাঁর মনে। ছোটপর্দায় কাজ করলেও ক্ষোভ, অভিমান মনের মধ্যে জমা করে রেখেছিলেন তিনি। গুমরে গুমরে থাকতেন। বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হয়তো অভিমান সঙ্গে নিয়েই চলে গিয়েছেন অভিষেক।
আগের তুলনায় শরীরও ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, বেশ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতেন অভিষেক। বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ও জানান, কারোর কথা শুনতেন না তিনি। নিজের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিতেন অভিনেতা। কিন্তু কানে তুলতেন না অভিষেক।
প্রসঙ্গত, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় নিজেই ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় দাদা আর দিদি, টপ হিরো ও টপ হিরোইন। তাঁরা দুজনে জোট বেঁধে আমাকে যে কত ছবি থেকে বাদ দিয়েছে, আমার সাইন করা ছবি। অন্তত ১২-১৪ টা ছবি এমন। আর নতুন ছবি বললে আরো ১২-১৪ টা, যেখানে আমাকে নায়ক হিসাবে ভাবা হয়ে গিয়েছিল। এমন ২০-২২ টি ছবি থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।”