বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট বাক্স এখনো খুলতে প্রায় 48 ঘন্টা দেরি। কিন্তু তার আগেই যেন বাক্সের বাইরে ছবিটা অনেকটা পাল্টে গিয়েছে জনযুদ্ধের আকারে। আর তার প্রতিনিধি যখন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার অন্যতম প্রধান মুখ বিপ্লব দেব। গ্রামবাংলার মানুষদের সঙ্গে পাত পেড়ে খেলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে গ্রামের মানুষের জন্য খাওয়ার জায়গায় বসে দুপুরে খেলেন তিনি। প্রত্যন্ত গ্রামের একটি বিয়েবাড়িতে সাধারণ মানুষের সাথে অত্যন্ত আনন্দ পেলেন তিনি। প্রত্যন্ত গ্রাম বালাসে মুখ্যমন্ত্রী আসাতে খানিকটা হতচকিত হয়ে পরেন কমলবাবুর মেয়ে পাত্রী রাখী সরকার।তার বিয়েতে এভাবে কোন একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসে উপস্থিত হবেন এটা তার ভাবনার যেন বাইরে ছিল।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের শেষদিনের প্রচারে ঝড় তুলতে একদিকে যেমন তৃণমূলের দেব এসেছিল তেমনি অন্যদিকে ত্রিপুরার দেব। রায়গঞ্জ নির্বাচন দপ্তর সেই রোড শো অনুমতি না দেওয়ায় কালিয়াগঞ্জের বালাসে কমলবাবুর মেয়ের বিয়েতে অংশ নিয়ে ফিরে যাবার কথা ছিল। এই পারমিশন নিয়ে কাল হয়েছিল ধুমধুমার কান্ড। সেখানে আগুন জালানো থেকে আরম্ভ করে পথ অবরোধ সবকিছুই প্রায় ঘটেছিল। তার পরেও পারমিশন পায়নি।তার রোড শো এর। কমলবাবুর বাড়িতে যাবার সময় বাঘন বটতলির কাছে দলীয় কর্মীদের দাবি মেনে রোড শোতে অংশ নিতে বাধ্য হন তিনি।পুলিশ প্রশাসন সেখানে থাকলেও রোড শোতে বাধা সৃষ্টি করেনি। এর পিছনেও ভোটের আগে কোন রকম রাজনৈতিক প্ররোচনামূলক কাজ রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ।
কালিয়াগঞ্জ বয়রা কালী মন্দির পর্যন্ত রোড শো করে কমলবাবুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিপ্লব দেব। সেখানে পাত্রীকে আর্শীবাদ করে নিমন্ত্রিতদের সঙ্গে এক প্যান্ডেলে খেতে বসে যান তিনি। গ্রামের লোক এতে চরম খুশি হাতের সামনে এমন একজন মানুষকে পেয়ে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,মানুষের উৎসাহ দেখে তিনি গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হয়েছেন। কমলবাবু এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করবেন। প্রচারের শেষ দিনে এভাবে আটকে থাকাতেও প্রচারে কোন প্রভাব পড়ছে না। জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার।তবে এখনই প্রচারের ফলাফল কতটা ভোট বাক্সে বন্দী হয় তা 28 শে নভেম্বর এর ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে সকলকে।