বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মন্ডল বনাম কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ফের উত্তপ্ত বীরভূম (Birbhum)। এলাকায় কার দাপট বেশি তা নিয়ে আরও একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই দাপুটে নেতার গোষ্ঠীর লড়াই। একদিকে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তো অন্যদিকে কঙ্কালীতলায় কাজল শেখের অনুগামীর বাড়ি সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশেপাশের এলাকায়।
কেষ্ট-কাজল দ্বন্দে উত্তপ্ত বীরভূম (Birbhum)
ঘটনার সূত্রপাত হয় তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনুব্রত অনুগামী তথা নানুরের বনগ্রামের তৃণমূল কর্মী নয়ন শেখের অভিযোগ কাজল শেখকে নিয়ে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করার পর একদল দুষ্কৃতী পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ির দরজা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।
অভিযোগ, বাঁশ লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এরপর মাঝরাতে, গ্রামেরই একটি মাঠ থেকে ওই তৃণমূলকর্মীকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকজন। বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী। নয়ন শেখের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হওয়ার কারণেই তাঁর উপর এই হামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথমবার! আলু চাষীদের জন্য নয়া ব্যবস্থা চালু করছে কৃষি বিপণন দপ্তর
অন্যদিকে কাজল অনুগামী তথা কঙ্কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল আহ্বায়ক আলেপ শেখের অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও, আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।
কাজল ঘনিষ্ঠ আলেপ শেখ আরও জানিয়েছেন, ওই বোমাবাজির সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় তিনি নাকি বনডাঙার তৃণমূলের দলীয় অফিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরেই তিনি দেখেন বোমাবাজি হয়েছে। ধোঁয়ার মধ্যেই ভয় পেয়ে গিয়ে ছোটাছুটি করছিলেন মানুষজন। তবে কে বা কারা বোমাবাজির ঘটনা ঘটাল, তা বলতে পারেননি তিনি। তবে পুলিশি তদন্তের দাবি তুলেছেন আলেপ শেখ।