নিজস্ব প্রতিনিধি,বোলপুর,বীরভূমঃ লোকসভা ভোটের পর বাংলায় যখন নিজেদের ভিত শক্ত করতে উঠেপড়ে লাগলো বিজেপি,ঠিক সেই মুহুর্তেই ঘাসফুলের শিকড় মজবুত করতে ময়দানে নামলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২৯ জুলাই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনা করেন। যার মূল বিষয় হলো, সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনা ৷ তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো ৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোথাও যেন সেই কর্মসূচিতে ভাটা পড়ে বীরভূমে। কাজে গতি ফেরাতে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই আবার সেই কর্মসূচিকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷
বীরভূমে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়েছেন,এমনকি আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বোলপুরে তৃনমূলের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের ডেকে নতুন করে এই কর্মসূচি চালু করার উদ্দেশ্যে আজ বৈঠকও করেছেন তিনি। সুদীপ্ত ঘোষ বৈঠকে বলেন,”বলতে দ্বিধা নেই আমরা ভুল করেছি। আগে অঞ্চল সভাপতিদের চোখ দিয়ে গ্রাম দেখতাম। এখন গ্রামের মানুষের চোখ দিয়ে গ্রাম দেখব।”
আজ এই বৈঠকে সুদীপ্ত ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,“দূর্গাপূজো ছিল,মহরম ছিল। সেই মহরমের জন্য কিছুটা ক্ষান্ত হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আমাদের ২০০০ গ্রাম কভার হয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০০০ গ্রাম করা। আমরা নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে আরোও ১৬০০ গ্রাম যাচ্ছি। প্রত্যকটি ব্লক প্রেসিডেন্ট যাবে। প্রত্যকটি যুব সভাপতি যাবে। প্রত্যকটি বিধায়ক যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০০০ গ্রাম কভার করে নেবো। এবং ২১ সালের মধ্যে যত গ্রাম আছে আমরা সবই কভার করে নেবো।” তিনি আরোও বলেন,”অনেকের অনেক অভিযোগ আছে। আমাদের নেতা কর্মীরা সেই জায়গায় গিয়ে মানুষের কথা শোনেন না ৷ এতে দূরত্ব তৈরি হয়। অনেকে আবার এড়িয়ে চলেন । গ্রামে বুথস্তরের কর্মীরা বাড়িতে রাত কাটাবে । যেটা আমরা আগে করতাম ৷ সেই জায়গা ফিরিয়ে আনতে হবে । মানুষজনের বাড়িতে যাব ৷ কথা বলব৷ সময় কাটাব ৷ আগে অঞ্চল সভাপতিদের চোখ দিয়ে আমরা গ্রাম দেখেছি । আমরা ভুল করেছি । এবার গ্রামের মানুষদের চোখ দিয়ে গ্রাম দেখব।”
আজ এই বৈঠকে দলছুট কয়েকজন কর্মী আসেন দলে যোগ হতে। তারপর তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়াও হয়।
শুনুন সুদীপ্ত ঘোষের বক্তব্য।