বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে বোলপুর থানার আইসিকে গালাগাল দেওয়ার অভিযোগ। এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। এবার এই ঘটনাতেই কেষ্টর গ্রেফতারি নিয়ে বড় কথা জানিয়ে দিল বীরভূম জেলা পুলিশ (Birbhum District Police)। জাতীয় মহিলা কমিশনকে পাঠানো দ্বিতীয় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারি নিয়ে কী বলল পুলিশ?
বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর মা ও স্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় অপমানের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে এই ঘটনায় কেষ্টর বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে পুলিশের পাঠানো রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। এমনকি কোন কোন ধারায় এফআইআর হতে পারে সেই বিষয়েও পুলিশকে পরামর্শ দিয়েছিল বলে খবর।
এবার জানা গেল, জাতীয় মহিলা কমিশনকে (NCW) পাঠানো দ্বিতীয় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন অনুব্রত। সেই জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়নি। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হু হু করে বাড়ছে আবেদনের সংখ্যা! ৩ দিনে SSC-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কতজন অ্যাপ্লাই করলেন? চমকে দেবে তথ্য
একইসঙ্গে সূত্রের দাবি, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযোগকারী আইসি লিটন হালদারের (Liton Halder) দু’টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট আসার পর তা খতিয়ে দেখে ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে কেষ্ট তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে রিপোর্ট দেওয়ায় পুলিশের জোরালো সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। তাঁর কথায়, বাংলায় পুলিশের দুরবস্থা ফাঁস করে দিয়েছেন কেষ্ট। সেই সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন তিনি দুষ্কৃতীদের পাশেই আছেন।
উল্লেখ্য, আইসিকে হুমকি কাণ্ডে জোর বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের নির্দেশে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামেনি। এবার বীরভূম জেলা পুলিশ জানাল, এই ঘটনার তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন কেষ্ট। সেই কারণে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন এখনও পড়েনি।