সৌতিক চক্রবর্তী,নানুর,বীরভূমঃ- ২৭ শে জুলাই ২০০০ সালে নানুরের সুঁচপুরে ঘটেছিল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। যেখানে ১১ জন চাষীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে। সেই গনহত্যায় শিকার হয়েছিলেন,শেখ নিজাম,রসুল বক্স,সবুর শেখ,শেখ সালামাত,হরাই শেখ,সরণ মিটি,সফিকুল শেখ,শেখ শফিক,আশরাফ শেখ,সাইফুর শেখ,শেখ আলি
মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন ফিরহাদ হাকিম।
হোসেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নানুর থানার অন্তর্গত সুঁচপুরে প্রতিবছর ওই দিনটিতে পালিত হয় নানুর দিবস বা শহীদ দিবস। আজ এই শহীদ দিবসে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম,কৃষি মন্ত্রী আশীষ ব্যানার্জী,নানুরের যুব তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, মলয় ঘটক, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী,রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বীরভূম জেলা সহ সভাপতি রানা সিংহ প্রমূখ।
মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন,”ব্ল্যাকমানি ফেরত দাও তারপর বিজেপি বাড়ি যাও । নাহলে রাস্তাঘাটে মারা হবে।” বিজেপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন,”বাংলা নিতে হলে ব্ল্যাকমানি ফেরত দিতে হবে। বিজেপি বলেছিল ১৫ লাখ টাকা ব্যাঙ্কে দেবে।শুনেছি নাকি আপনাদের মধ্যে বিলি করার জন্য ওই ব্ল্যাকমানি চলে এসেছে। আর ওই টাকা গুলো বিজেপি নেতারা খেয়ে নিয়েছে। এখন আমাদের আন্দোলন হচ্ছে ব্ল্যাকমানি ফেরত দিয়ে দাও৷ যেখানেই বিজেপি দাঁড়াবে আগে আপনারা বলবেন ব্ল্যাকমানি ফেরত দাও। তারপর দল করো।”
মঞ্চের নীচে দর্শক।
সিবিআই ও ইডি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”বিজেপি তাদের রাজনৈতিক কারণেই মনে হয় সিবিআই,ইডি এগুলো ব্যবহার করছে।এটা কিন্তু নতুন কিছু নয়, বিরোধীদের সকলকে সিবিআই, ইডিতেই দেয়। যেখানে অমিত শাহ সিবিআইয়ের কাস্টডিতে ছিল, এখানে বিজেপি আসার পরে তাকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। সিবিআইকে বলা হতো সেন্ট্রাল গভর্মেন্টের তোতা পাখি,সুপ্রিম কোর্ট বলেছে। আজকে সেটাই আমাদের সামনে সত্য বলে প্রমাণ হচ্ছে।”
তিনি কাটমানি প্রসঙ্গে বলেন, ‘যারা সব কাটমানি খেয়েছে, যে সমস্ত দলের নেতারা কাটমানি খেয়েছে,যে বিজেপি নেতার কাছে ব্ল্যাকমানি আছে আর তৃণমূলের অল্পসংখ্যক কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাদের আইন অনুযায়ী নিশ্চয়ই বিচার হবে।’
মঞ্চে মলয় ঘটক তার ডানপাশে অভেদানন্দ থাণ্ডার ও বাঁদিকে সুদীপ্ত ঘোষ।
তিনি সাধারণ মানুষদেরকে সচেতনতা করার জন্য বলেন, “মমতা ব্যানার্জি সাধারণ মানুষদের সচেতন করার জন্য বলেছেন, আপনার অধিকার আপনি বুঝে নিন।গ্যাসের কাটমানি দেবেন না”
মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী ও বসে রয়েছেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তিনি সুর চড়িয়ে আরও বলেন, “ধমকে চমকে ভয় দেখিয়ে সিবিআই দিয়ে আমাদের লোকজনকে নিজেদের দলে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সিপিআইএম লোকজনকে ভয় পাইনি আর সিবিআই কে ভয় পাব? মুকল রায়ের মতো কিছু লোক যাবে। যারা ভয়ে কাঁপে।”