ভাত, গরম গরম মাটন কষা, আর…! অনুব্রত ফেরার আনন্দে পিকনিক, ফুল মেনু শুনলে চমকে যাবেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কখনও করা হয়েছে মঙ্গলকামনায় যজ্ঞ, কখনও তার জন্য চোখে জল এসেছে দলের কর্মীদের। তবে সেসবের পালা আপাতত শেষ। অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শুক্রবারই গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। আগেই সিবিআই এর মামলাতে মিলেছিল জামিন। তাই আর কোনো বাধা নেই এবার। পুজোর আগেই বাংলায় পা রাখছেন ‘বীরভূমের বাঘ’।

কেষ্ট মুক্তির খবর চাউর হতেই উৎসবে মেতেছেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মীরা। কেষ্টটা ফেরার আনন্দে আত্মহারা সকলে। বাজছে ‘খেলা হবে’ গান। জোরাফুল শিবিরে এ যেন পুজোর আগেই উৎসব। কোথাও উড়েছে সবুজ আবির, অকাল হোলি যাকে বলে! কোথাও আবার মিষ্টিমুখ হচ্ছে সবুজ রসগোল্লা দিয়ে। অনুব্রত জামিনের খুশিতে বীরভূমের নানুরের থুপসার অঞ্চলের আতকুলা গ্রামে প্রায় ৪০০ গ্রামবাসীকে পেট ভরে খাওয়ানো হয়েছে গরম গরম খাসির মাংস-ভাত।

তবে কেবল মাংস-ভাতই নয়, মেনুতে ছিল আরও অনেক কিছু। ছিল সাদা ভাত, আলুর কষা তরকারি, খাসির মাংস আর শেষপাতে দই ও পাঁপড়। এলাহী সব আয়োজন। বীরভূমের রাজনীতিতে কেষ্টর অবদান কাররই অজানা নয়। এককথায় ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে পরিচিত তৃণমূলের অনুব্রত। জেলার অনেক নেতা-কর্মীর কাছেই তিনি ‘অভিভাবক’ সমান। তাই ‘দাদা’র জেলমুক্তিতে জেলা তৃণমূল কর্মীদের খুশি যেন ধরছে না।

২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সিবিআই আদালতে এই মামলা চলে। সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিহাড় জেলে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। এতদিন তিহাড়েই ছিলেন তৃণমূলের কেষ্ট। তবে এবার ফিরবেন বাংলায়।

anubrata mondal

আরও পড়ুন: ‘৩১ ডিসেম্বর..,’ রেশন দুর্নীতি মামলায় অবশেষে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, বিপাকে জ্যোতিপ্ৰিয়?

সূত্রের খবর, সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে সোমবার নাগাদ অনুব্রত জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই এই একই মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন সুকন্যা। এরপর কেষ্ট গ্রেফতারির সাড়ে আট মাস পর সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আপাতত তিনি জেলমুক্ত। সুকন্যা ছাড়া পাওয়ার পর খুশিতে গ্রামে সকলকে মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়। আর এবার বাবা অনুব্রতর মুক্তিতে সোজা মাটন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর