বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় খেটেছেন জেল। তবে লম্বা বিরতির পর জেলায় ফিরে এসেও বিন্দুমাত্র দাপট কমেনি তাঁর। যদিও সম্প্রতি বীরভূম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে (Anubrata Mondal)। বীরভূমে সভাপতি পদ একেবারের মতো তুলে দিয়েছে তৃণমূল। প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কী কেষ্টর ক্ষমতা কমানো হল? তবে দেখা যাচ্ছে পদহারা হলেও স্বমেজাজেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা।
কী বললেন কেষ্ট? Anubrata Mondal
বুধবার গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, ”আমি ‘৭৭ সাল থেকে দল করছি। গাইবাছুরে অনেক ভোট করিয়েছি। মানে বুঝে নিন। আমার প্রতিজ্ঞা ছিল আমি সিপিএমকে তাড়াব। তাড়িয়েছি। তখন কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ ছিল না।”
জোর গলায় কেষ্ট বলেন, ”বীরভূমের মানুষ জানে, আমি কী করেছি। অনেক রাখাল-বাগাল আছে। কে কী বলছে, তাতে কিছু হয় না। এখানে যে যা খুশি বলতেই পারে। রাজনীতি তো কারও বাপের নয়। এটা সকলের।” এখানে কারও নাম উল্লেখ না করলেও কেষ্টর নিশানায় কাজল শেখ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। উল্লেখ্য, বীরভূমে অনুব্রতের সঙ্গে এই কাজলের কিরূপ সম্পর্ক তা কারও অজানা নয়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেছে ‘এই’ তৃণমূল নেতা! মহিলার অভিযোগে পুলিশকে বড় নির্দেশ আদালতের
এর আগে পদ হারানোর পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অনুব্রত বলেছিলেন, ‘পদ না পেয়ে অম্বল হবে, এরকম মানুষ আমি নই। আমায় তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার সাংসদ করতে চেয়েছিল। চাইলে তো হতে পারতাম তখনই। কবেই বিধায়ক, সাংসদ হতে পারতাম। পদের মোহ আমি করিনা। মানুষের পাশে থাকাটাই আমার কাজ।’ ‘জেল যখন খেটেছি, তখন কোনও দিনই অন্য দলে যাব না। কারণ, অন্য দলে গেলে তো এই জেলও খাটতে হত না।’ বলতেও শোনা যায় অনুব্রতকে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/QvD0DE2cVTQ?si=UmCDgGdVfalQcxzw
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। তার অন্যতম সদস্য বীরভূমের কাজল শেখ। অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের সংগঠনের রাশ ছিল এই কোর কমিটির হাতেই।
অনুব্রত না থাকলেও লোকসভা নির্বাচনেও বীরভূমে ভাল ফল করে তৃণমূল। এদিকে গত বছর জেল থেকে ফিরে এসে পুরোনো মেজাজেই কাজ করতে শুরু করেন অনুব্রত। অভিযোগ উঠছিল তিনি কোর কমিটিকে এড়িয়ে কাজ করছিলেন। যা নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিল জেলায়। এরই মধ্যে বীরভূমে জেলা সভাপতির পদ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল।